Answer :
১। বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ কার্যকর হবার পূর্বে নির্মিত বা চালুকৃত কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেতে কোন স্বীকৃত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম কর্তৃক ভবনের স্থায়িত্ব এবং ওজন বহন ক্ষমতার (load bearing capacity) সনদ অথবা বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ কার্যকর হবার পরে নির্মিত বা চালুকৃত কারখানা বা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে মর্মে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে সনদ গ্রহণ করতে হবে;
২। কলকারথানার বা প্রতিষ্ঠানের ভবনের প্রতিটি কক্ষ যেখানে ২০ জনের অধিক সংখ্যক ব্যক্তি কাজ করেন সেক্ষেত্রে অন্যন দু’টি করে বহির্গমন পথ থাকতে হবে এবং এগুলাে এমনভাবে অবস্থিত থাকবে যাতে প্রত্যেক বক্তি তার কাজের স্থান হতে বহির্গমন পথ পর্যন্ত বাঁধাহীনভাবে এবং স্বাচ্ছন্দে পৌছাতে পারে;
৩। বহির্গমন পথ কোন শ্রমিকের কাজের স্থান হতে পঞ্চাশ মিটারের অধিক দূরত্বে হবে না এবং তা প্রস্থে ১.১৫ মিটার এবং উচ্চতায় ২.০০ মিটারের কম হতে পারবে না
৪। যদি আপনার কারখানায় ছয়তলা পর্যন্ত উচ্চতা বিশিষ্ট ভবন থাকে তবে উক্ত ভবনের কোন সিঁড়ি ১.১৫ মিটারের কম প্রশস্ত হবে না, ষষ্ঠ তলার অধিক উচ্চতাসম্পন্ন ভবনের সিড়ি ২.০০ মিটারের কম প্রশস্ত হবে না, সিড়িসমূহ অবশ্যই অগ্নিপ্রতিরােধ পদার্থ দ্বারা নির্মাণ করতে হবে, সরাসরি ও বাঁধাহীন যাতায়াতের ব্যবস্থা সম্বলিত হতে হবে এবং বহুতল বিশিষ্ট কারখানা ভবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের বিধানবলি প্রযােজ্য হবে;
৫। সিড়িতে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ও আলাের ব্যবস্থা থাকতে হবে যেন সিড়িতে থােয়াচ্ছন্ন বা অন্ধকারাচ্ছন্ন না হতে পারে এবং চিলেকোঠায় অবস্থিত দরজা কাজ চলাকালীন বন্ধ বা তালাবদ্ধ রাখা যাবে না;
৬। প্রত্যেক ভবনে প্রতি ৮৫০ বর্গমিটার স্থানের জন্য প্রতি তলায় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী একটি হােজরিল পরিদর্শক কর্তৃক অনুমােদিত স্থানের স্থানে স্থাপন করতে হবে, তাতে কার্যকর পানির সংযােগ থাকবে এবং প্রতি বৎসর ন্যূনতম একবার পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
৭। প্রত্যেক কারখানা/প্রতিষ্ঠানের প্রতি তলায় প্রতি ১০০০ বর্গমিটার মেঝে এলাকার জন্য ২০০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন পানি অথবা দাহ্য বস্তুর প্রকৃতি অনুযায়ী প্রতি ৯০ বর্গমিটার স্তানের জন্য ন্যূনতম একটি ফোম টাইপ, ডাই কেমিক্যাল পাউডার (এ বি সি টাইপ), কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও ডি টাইপ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকতে হবে;
৮। প্রত্যেক কারখানা এবং প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপণের প্রয়ােজনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড-এর বিধান অনুযায়ী মানসম্মত ধারণক্ষতার জলাধারের ব্যবস্থা থাকতে হবে, যা সবসময় পানি দ্বারা পূর্ণ থাকতে হবে এবং হােজরিলের সাথে কার্যকরভাবে সংযুক্ত রাখতে হবে;
৯। বাংলাদেশ বিল্ডিং কোড অনুযায়ী Fire alarm, smoke detector, Fire rated wall 97: Fire door, অগ্নিপ্রতিরােধক Shaft ইত্যাদির মাধ্যমে ডিটেকশন ও প্রােটেকশন সিস্টেম এবং Horizontal ও vertical Separation নিশ্চিত করতে হবে; (উদাহরণসরূপ: বয়লার, জেনাটের, সাবস্টেশন, কম্প্রেসর, কেমিক্যাল গুদাম ইত্যাদি);
১০। কারখানা/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রতি ছয়মাসে অন্তত একবার নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও পরিদর্শককে সম্পৃক্ত করে অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার আয়ােজন করতে হবে ও নির্ধারিত ফরমে রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে। প্রত্যেক কারখানা প্রতিষ্ঠানের ভবনের প্রত্যেক ফ্লোরে সহজে দৃশ্যমান এক বা একাধিক স্থানে বহির্গমন পথের নকশা (Evacuation Plan) প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখতে হবে;
১১। কারখানা/প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক বিভাগে নিযুক্ত শ্রমিকদের কমপক্ষে ১৮% শ্রমিককে (৬% অগ্নিনির্বাপক দল, ৬% উদ্ধারকারী দল ও ৬% প্রাথমিক চিকিৎসার এবং বহনযােগ্য অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে;
১২। কারখানা ও প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে যাওয়ার পূর্বে ব্যবসা বা সেবা চালু করার পূর্বে অবশ্যই বৈদ্যুতিক ওয়ারিং এর উপযুক্ততা সনদ সরকার কর্তৃক অনুমােদিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে গ্রহণ করতে হবে;
১৩। সকল বৈদ্যতিক ওয়ারিং ও সুইচবাের্ড সমূহ বিদ্যৎ অপিরিবাহী পদার্থ দ্বারা কনসিলড ওয়ারিং এর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে; নিরাপদ বিদুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রতি ১২ মাসে অন্তত একবার অথবা সার্টিফিকেটে প্রদত্ত মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে একজন উপযুক্ত লাইসেন্স প্রাপ্ত ওয়ারিং পরিদর্শক বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের পর্ণাঙ্গ আর্থিং ও ওয়ারিং পরীক্ষা করে ফলাফলসহ প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে;
১৪। প্রত্যেক ফ্লোরের বৈদ্যুতিক লােড ডিস্ট্রিবিউশন যথাযথ সিশেল লাইন ডায়াগ্রামের মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে হবে;
১৫। এমএসডিএস(MSDS) অনুসরণ করে বিস্ফোরণ বা প্রজ্জলিত হবার সম্ভাবনাযুক্ত ধোঁয়া, ধূলি, গ্যাস, বাম্প, তৈল, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদির ঝুঁকি প্রতিরােধের জন্যে কার্যকর সংরক্ষণ (উপযুক্ত লেবেলিং এবং পৃথকীকরণ) এবং পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে;
১৬। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমােদিত ভবনের নকশা।
১৭। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক প্রদত্ত হালনাগাদ লাইসেন্স।
১৮। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক হালনাগাদ অনুমােদিত লাইসেন্স ও মেশিন লে-আউট প্ল্যান।
১৯। কারখানা/প্রতিষ্ঠানে বয়লার থাকলে উহার হালনাগাদ লাইসেন্স এবং রক্ষণাবেক্ষণের সনদ।
২০। যন্ত্রপাতি সমুহের রক্ষণাবেক্ষণের দলিলাদি।
২১। বিস্ফোরক অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহিত সনদ (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে)।
.
সূত্রঃ www.dife.gov.bd- উপমহাপরিদর্শক এর কার্যালয় আই,আর,আই রােড, টঙ্গী বাজার, গাজীপুর।( স্মারকঃ উ:ম:পরি:/গাজীপুর/ ১৩৮৬০ , তারিখঃ ১৪/১১/২০২১খ্রি: , )
.
অসাধারন শিক্ষার জায়গা
ধন্যবাদ
অন্যদের সাথে ও Website টি শেয়ার করুন 😍🥰😍🥰
Wow, incredible blog structure! How long have you ever been running
a blog for? you made blogging glance easy. The entire glance of your site is wonderful,
as smartly as the content material! You can see similar here sklep internetowy
Wow, amazing weblog layout! How lengthy have you ever been running a blog for?
you make running a blog glance easy. The total glance of your web site is wonderful, as well as the content material!
You can see similar here najlepszy sklep
Wow, marvelous blog format! How lengthy have you been blogging
for? you make running a blog glance easy. The whole look of
your web site is excellent, as neatly as the content material!
You can see similar here najlepszy sklep
Wow, incredible weblog format! How lengthy have you ever
been blogging for? you make running a blog look easy.
The full glance of your web site is excellent, let alone the content!
You can see similar here sklep internetowy