Question: ছুটি কত প্রকার ও কি কি, রেফারেন্স কি এবং ব্যাখ্যাসহ আলোচনা ?

Spread the love
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
ছুটি কি, ছুটি কত প্রকার ও কি কি এবং রেফারেন্স সহ বিস্তারিত আলোচনা শুনতে ও জানতে বিডিওটি দেখুন।

Answers: ছুটি ০৯ প্রকার। যথাঃ

01. মাতৃত্বকালীন ছুটি

ধারা ৪৬ অনুযায়ী ,

৪৬৷ (১) প্রত্যেক মহিলা শ্রমিক তাহার মালিকের নিকট হইতে তাহার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী আট সপ্তাহ এবং সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী আট সপ্তাহের জন্য প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাইবার অধিকারী হইবেন, এবং তাহার মালিক তাহাকে এই সুবিধা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেনঃ তবে শর্ত থাকে যে, কোন মহিলা উক্তরূপ সুবিধা পাইবেন না যদি না তিনি তাহার মালিকের অধীন তাহার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পূর্বে অন্যুন ছয় মাস কাজ করিয়া থাকেন৷

(২) কোন মহিলাকে উক্তরূপ সুবিধা প্রদেয় হইবে না যদি তাহার সন্ত্মান প্রসবের সময় তাহার দুই বা ততোধিক সন্তান জীবিত থাকে, তবে এক্ষেত্রে তিনি কোন ছুটি পাইবার অধিকারী হইলে তাহা পাইবেন৷

অথ্যার্ৎ নিয়ম অনুসরন করে একজন মহিলা সর্বমোট ১৬ সপ্তাহের বা ১১২ দিনের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করিতে পারিবেন।

বিধিমালা ২০১৫ সংশোধনী ২০২২ এর বিধি ৩৮(ক) অনুযায়ী , প্রসুতি কল্যান ছুটিতে যাইবার নির্ধারিত তারিখের পূর্বে কোন মহিলা শ্রমিকের গর্ভপাত ঘটিলে তিনি স্বাস্থ্যগত কারনে পরবর্তী ৪ (চার) সপ্তাহ ছুটি ভোগ করিতে পারিবেন এবং এইক্ষেত্রে উক্ত ছুটির জন্য মজুরী কর্তন করা যাইবেনা বা অন্য কিছুর সাথে সমন্বয় করা যাইবে না ।

02. সাপ্তাহিক ছুটিঃ

ধারা ১০৩ অনুযায়ী , কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন শ্রমিক-

(ক) প্রতি সপ্তাহে কারখানা ও শিল্পের ক্ষেত্রে একদিন এবং দোকান ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দেড় দিন ছুটি পাইবেন;

(খ) সড়ক পরিবহণ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, প্রতি সপ্তাহে অবিচ্ছিন্ন চবি্বশ ঘণ্টার একদিন ছুটি পাইবেন;

(গ) উপরোক্ত দফা (ক) ও (খ) এর আওতায় কোন ছুটির জন্য শ্রমিকের মজুরী হইতে কোন কর্তন করা যাইবে না।]

তবে ধারা ১০৪ অনুযায়ী ,

কোন শ্রমিক উক্ত ধারার অধীন তার প্রাপ্য কোন ছুটি বঞ্চিত হন সে ক্ষেত্রে, উক্ত শ্রমিককে অবস্থা অনুযায়ী যথাশীঘ্র সম্ভব উক্তরূপ ছুটির দিনের সম সংখ্যক ছুটি মঞ্জুর করতে হবে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ করিয়া পরে উক্ত সাপ্তাহিক ছুটি উৎসব-ছুটির সঙ্গে যোগ করিয়া ভোগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটির দিনের কাজের জন্য কোনো অধিকাল ভাতা প্রদেয় হইবে না।

আবার বিধি ১০১ অনুযায়ী ,

(১) কোন শ্রমিক তাহার প্রাপ্য সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান সম্ভব না হইলে উক্ত শ্রমিককে তাহার উক্তরূপ ছুটি প্রাপ্য হুইবার পরবর্তী ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করিতে হইবে।

(২) সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান না করিয়া কোন শ্রমিককে একাধারে ১০(দশ) দিনের অধিক কাজ করানো যাবে না।

03. নৈমিত্তিক ছুটিঃ

ধারা ১১৫ অনুযায়ী ,

প্রত্যেক শ্রমিক প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে পূর্ণ মজুরীতে দশ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি পাইবার অধিকারী হইবেন, এবং উক্তরূপ ছুটি কোন কারণে ভোগ না করিলেও উহা জমা থাকিবে না এবং কোন বৎসরের ছুটি পরবর্তী বৎসরে ভোগ করা যাইবে না।

তবে শর্ত থাকে যে এই ধারার কোন কিছুই চা-বাগানের অধীনে নিযুক্ত কোন শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

04. পীড়া বা অসুস্থাজনিত ছুটি

ধারা ১১৬ (১) অনুযায়ী ,

সংবাদ পত্র শ্রমিক ব্যতীত, প্রত্যেক শ্রমিক প্রত্যেক পঞ্জিকা বৎসরে পূর্ণ মজুরীতে চৌদ্দ দিনের পীড়া ছুটি পাইবার অধিকারী হইবেন।

05. বাৎসরিক বা অর্জিত ছুটিঃ

ধারা ১১৭ (১)(ক) অনুযায়ী ,

প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিককে পরবর্তী বারো মাস সময়ে তাহার পূর্ববর্তী বারো মাসের কাজের জন্য – কোন দোকান বা বাণিজ্য বা শিল্প প্রতিষ্ঠান অথবা কোন কারখানা অথবা সড়ক পরিবহন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, প্রতি আঠার দিন কাজের জন্য একদিন মজুরীসহ ছুটি পাইবেন ।

তবে প্রতিষ্ঠান , চা – বাগান , সংবাদপত্র ইত্যাদি ভেদে এই ছুটির ভিন্নতা রয়েছে ।

বিধি ১০৭ অনুযায়ী ,

(১) ধারা ১১৭ অনুযায়ী বাৎসরিক বা অর্জিত ছুটি গণনার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১২ (বার) মাসে শ্রমিকের কাজে উপস্থিতির দিনগুলিকে গণ্য করিতে হইবে।

(২) কোন শ্রমিক চাহিলে তাহার অব্যয়িত অর্জিত ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ গ্রহণ করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, বৎসরান্তে অর্জিত ছুটির অর্ধেকের অধিক নগদায়ন করা যাইবে না এবং এইরূপ নগদায়ন বৎসরে মাত্র একবার করা যাইবে

(৩) কোন শ্রমিক তাহার মজুরিসহ ছুটি পাওনা থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে, তাহার ছুটি বাবদ মজুরি তাহার মনোনীত বা আইনগত উত্তরাধিকারীকে পরিশোধ করিতে হইবে

শ্রম বিধিমালা সংশোধনী ২০২২ এ বিধি ১০৭ অনুযায়ী , বাৎসরিক ছুটি হিসেবের ক্ষেত্রে সর্বশেষ মাসিক মজুরীকে ৩০ দিয়ে ভাগ করে ০১ দিনের বাৎসরিক ছুটির টাকা হিসেব করা হবে।

অর্জিত ছুটি কিভাবে হিসাব করতে হয় তার Excel এর automation calculation format পেতে ক্লিক করুন। এখানে ০২ টি ‍sheet দেওয়া হয়েছে , একটি sample আকারে করে দেখানো হয়েছে অন্যটি blank আকারে রাখা হয়েছে যেন আপনি আপনার মত করে দেখতে পারেন ।

আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

অর্জিত ছুটির নগদায়ন ইপিজেডের জন্য

ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ অনুযায়ী অর্জিত ছুটি নগদায়ন করা যাবে।

অর্জিত ছুটির নগদায়নের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে যেমনঃ

১। কর্মী অব্যয়িত ছুটি ভোগ করবে অথবা নগদায়ন করবে। কর্মীর ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে এবং মালিক কিছুই চাপিয়ে দিতে পারবেন না।

২। কর্মীকে সর্বশেষ বছরের অর্জিত ছুটি জমা রাখিয়া, তার বাকি অব্যয়িত ছুটি ভোগ করতে পারবেন।

উদাহরণঃ

মাহবুব XYZ প্রতিষ্ঠানে তিন বছর চাকুরী করেন যথাক্রমে ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯।

এখন মাহবুব যদি ছুটি নগদায়ন করতে চায়, সেক্ষেত্রে সে ২০১৯ সালের কোন ছুটি ২০২০ সালে নগদায়ন করতে পারবেন না।

তিনি ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে যদি কোন ছুটি পাওনা থাকেন, তবে তিনি উক্ত ছুটি নগদায়ন করতে পারবেন।

ছুটি নগদায়নের ক্ষেত্রে যে মাসে নগদায়নের অর্থ প্রদান  করা হবে, তার আগের মাসের মোট প্রাপ্ত মজুরিকে ৩০ দিয়ে ভাগ করতে হবে।

মোট মজুরি অর্থ “মূল মজুরি+বাড়ি ভাড়া+চিকিৎসা ভাতা”

তাহলে এক দিনের মজুরি পাওয়া যাবে এবং তাকে অব্যয়িত ছুটির দিন দিয়ে গুন করতে হবে। তাহলেই পাওয়া যাবে পরিশোধযোগ্য অর্থের পরিমান।

৩। আরেকটি বিষয় বলে নেয়া ভাল ছুটির নগদায়ের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত মোট মজুরির কথা বলা হয়েছে। অথাৎ কোন প্রকার অনুপস্থিতির জন্য কর্তন থাকলে উক্ত অর্থ বাদ দিয়ে মোট প্রাপ্ত মজুরি গননা করতে হবে।

Collected

06. উৎসব ছুটি

ধারা ১১৮। অনুযায়ী ,

(১) প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে ১১ (এগার) দিনের মজুরীসহ উৎসব ছুটি দিতে হইবে।

(৩) কোনো শ্রমিককে কোনো উৎসব-ছুটির দিনে কাজ করিতে বলা যাইতে পারিবে, তবে ইহার জন্য তাহাকে এক দিনের বিকল্প ছুটি এবং দুই দিনের ক্ষতিপূরণমূলক মজুরি প্রদান করিতে হইবে।

07. ক্ষতিপূরনমূলক ছুটি ।

প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিপূরনমূলক ছুটি হচ্ছে কোন প্রাপ্ত ছুটির পরিবর্তে অর্থ্যাৎ আপনি আইন অনুযায়ী কোন ছুটি প্রাপ্ত ছিলেন কিন্তু যে কোন কারনেই হোক আপনি উক্ত ছুটি ভোগ করতে পারেন নাই । তখন ওই অভোগকৃত ছুটির বিপরীতে যে ছুটি প্রাপ্ত হইবেন তাই হলো ক্ষতিপূরনমূলক ছুটি । তবে এ ছুটি শুধুমাত্র সাপ্তাহিক ছুটি ও উৎসব ছুটি এই ০২ ধরনের ছুটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।

সাপ্তাহিক ছুটির ক্ষেত্রেঃ

ধারা ১০৪ অনুযায়ী আপনি ০১ দিন সাপ্তাহিক ছুটি প্রাপ্ত হন । এই প্রাপ্ত ছুটি যদি আপনি কোন কারনে যেমনঃ কোম্পানীতে অতিরিক্ত কাজের জন্য বা শীপমেন্ট এর জন্য সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ না করিতে পারেন তবে আপনি নিম্মোক্তভাবে উক্ত ছুটির ক্ষতিপূরন পাবেন।

১। বিধি- ১০১(১) অনুযায়ী , কোন শ্রমিককে তাহার প্রাপ্য সাপ্তাহিক  ছুটি প্রদান সম্ভব না হলে উক্ত শ্রমিককে তাহার উক্তরুপ ছুটি প্রাপ্য হইবার পরবর্তী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করতে হবে।

২। বিধি- ১০১(৩) অনুযায়ী , অব্যহতী প্রাপ্ত শ্রমিকগনের প্রাপ্য সাপ্তাহিক কোন ক্ষতিপূরনমূলক ছুটি সাপ্তাহিক ছুটি প্রাপ্য হইবার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রদান করতে হবে।

৩। বিধি- ১০১(৫) অনুযায়ী , প্রাপ্য সাপ্তাহিক ক্ষতিপূরনমূলক ছুটি পাইবার পূর্বে শ্রমিকের চাকুরীর অবসান হইলে পাওনা পরিশোধের সময় অভোগকৃত ক্ষতিপূরনমূলক সাপ্তাহিক ছুটির দিন গুলোর জন্য পূর্ণ মজুরী প্রদান করতে হবে।

তবে ধারা ১০৪ অনুযায়ী , সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ করিয়া পরে উক্ত সাপ্তাহিক ছুটি উৎসব-ছুটির সঙ্গে যোগ করিয়া ভোগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটির দিনের কাজের জন্য কোনো অধিকাল ভাতা প্রদেয় হইবে না। এ ক্ষেত্রে ইহা ক্ষতিপূরনমূলক ছুটি হিসেবে বিবেচিত হবেনা ।

উৎসব ছুটির ক্ষেত্রেঃ

ধারা ১১৮(১) অনুযায়ী , প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে ১১ (এগার) দিনের মজুরীসহ উৎসব ছুটি দিতে হইবে।

যদি কতৃপক্ষ কোন কারনের উৎসব ছুটির দিন ছুটি না দিয়ে কাজ করায় তাহলে কতৃপক্ষকে উৎসব ছুটির বিপরীতে ধারা ১১৮(৩) অনুযায়ী , দুইটি শর্ত মানতে হবে ।

০১ নং শর্তঃ এক দিনের বিকল্প ছুটি দিতে হবে।

০২ নং শর্তঃ দুই দিনের ক্ষতিপূরনমূলক মজুরী দিতে হবে।

শ্রম বিধিমালা ২০১৫ সংশোধনী তে বিধি ১১০ অনুযায়ী , ক্ষতিপূরনমূলক মজুরি হিসেবের ক্ষেত্রে , মাসিক মুল মজুরি ও মহার্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অন্তবর্তী মজুরিকে (যদি থাকে) ৩০ (ত্রিশ) দ্বারা ভাগ করিয়া ০১ (এক) দিনের ক্ষতিপূরনমূলক মজুরি গননা করিতে হইবে।

08. পেশাগত ব্যাধির জন্য অস্থায়ী অক্ষমতার জন্য ছুটি

(শ্রম আইনের ধারা ১৫০ অনুযায়ী , ০৫ম তফসীলে ০৪র্থ কলামে বিস্তারিত বলা আছে তবে এই ছুটি ০২ বৎসরের অধিক হবেনা।)

অক্ষমতার মেয়াদকালের জন্য , অথবা ০১ বৎসর পর্যন্ত, যা কম হবে, ক্ষতিপূরন প্রদান করা হবে ।

উক্তরুপ ক্ষতিপূরন প্রথম ০২ মাসের জন্য সম্পূর্ন মাসিক মজুরী , পরবর্তী ০২ মাসের জন্য মাসিক মজুরীর দুই – তৃতীয়াংশ এবং তৎপরবর্তী মাসগুলির জন্য মাসিক মজুরীর অর্ধেক হারে প্রদান করা হবে।

দীর্ঘকাল স্থায়ী পেশাগত ব্যাধীর ক্ষেত্রে অক্ষমতার জন্য ক্ষতিপূরন মাসিক মজুরীর অর্ধেক হারে অক্ষমতার মেয়াদকালে প্রদান করা হবে , তবে এই মেয়াদ কোন ক্ষেত্রে ০২ বৎসরের অথিক হইবে না ।

তবে এখানে উল্লেখ্য যে স্থায়ী অক্ষমতার জন্য ২,৫০,০০০ টাকা এবং মৃত্যুজনিত কারনে ২,০০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরন দেওয়া হয় । (বাংলাদেশ গেজেট , অতিরিক্ত নভেম্বর ১৪ , ২০১৮ )

ধারা ১০৪ অনুযায়ী

09. বদলি ছুটি

.

.

বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন শ্রম আইন ২০১৯ এর ধারা-০৯,৩০,৪১,৪২,৫০,৫১,৫২ এবং ৫৩ অনুযায়ী ছুটি মোট আট প্রকার যথাঃ-

১। নৈমেত্তিক ছুটি

ইপিজেড আইনের ধারা-৫০ অনুযায়ী নৈমেত্তিক ছুটি হবে ১০ দিন এবং পূর্ন মজুরীতে একজন শ্রমিক এই ছুটি ভোগ করতে পারবেন।

২। অসুস্থতা ছুটি

ইপিজেড আইনের ধারা-৫১ অনুযায়ী অসুস্থতা ছুটি হবে ১৪ দিন এবং পূর্ন বেতনে একজন শ্রমিক এই ছুটি ভোগ করতে পারবেন। পূর্বে শ্রমিক অর্ধেক বেতনে উক্ত ছুটি ভোগ করতেন।

৩। অর্জিত ছুটি

প্রতি ১৮ দিন কাজের জন্য শ্রমিক একদিনের ছুটি পাবেন যা নগদায়ন করা যাবে কিন্তু নগদায়নের নিয়ম ইপিজেড কর্তৃপক্ষ ঠিক করে দিবে।

৪। ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি

ধারা-৪১ অনুযায়ী যদি কোন শ্রমিক সাপ্তাহিক ছুটি না পায় তবে ধারা-৪২ অনুযায়ী পরর্বতী ৬ দিনের মধ্যে তাকে ক্ষতিপূরণমূলক সমপরিমান ছুটি দিতে হবে।

৫। মাতৃত্বকালীন ছুটি

মোট ১৬ সপ্তাহ ছুটি ভোগ করতে পারবেন একজন নারী শ্রমিক যদি তাহার দুটি সন্তান জীবিত না থাকে এবং চাকুরীর বয়স ৬ মাস হতে হবে।

৬। উৎসব ছুটি

ধারা-৫৩ অনুযায়ী কর্মী ১১ দিন উৎসব ছুটি ভোগ করিতে পারিবেন এবং কোন কারনে কর্মীকে উৎসব ছুটির জন্য কাজ করাতে একদিনের জন্য দুইদিন মজুরীসহ ছুটি দিতে হবে।

৭। সাপ্তাহিক ছুটি 

ধারা- ৪১ অনুয়ায়ী শ্রমিক সপ্তাহে ১ দিন সাপ্তাহিক ছুটি পাইবেন এবং ইহার জন্য কর্মীকে মজুরী প্রদান করা হবে।

৮। সাধারন ছুটি

ইপিজেড শ্রম আইন অনুযায়ী ইপিজেড কর্তৃপক্ষ ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানের জন্য সাধারন ছুটি ঘোষণা করতে পারবে।

.

.

.

HR ( Human Resource) এর মুল Menu তে ফিরে যেতে ক্লিক করুন

ছুটি বিষয়ক সকল প্রশ্ন ও উত্তর – Menu তে যেতে ক্লিক করুন

মাতৃত্বকালীন বিষয়ক সকল প্রশ্ন ও উত্তর – Menu তে যেতে ক্লিক করুন

Injury / Accident / Disease সংক্রান্ত সকল প্রশ্ন ও উত্তর এ ফিরে যেতে এখানে ক্লিক করুন

সার্ভিস বেনিফিট ও চাকুরী সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর -Menu তে ফিরে যেতে এখানে ক্লিক করুন

মজুরী সংক্রান্ত সকল প্রশ্ন ও উত্তর এ ফিরে যেতে এখানে ক্লিক করুন

ফান্ড , বিমা এবং তহবীল সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর -Menu তে ফিরে যেতে এখানে ক্লিক করুন

শ্রম আইন ভিত্তিক অন্যান্য প্রশ্ন ও উত্তর এবং বিশ্লেষন Menu তে ফিরে যেতে ক্লিক করুন

One thought on “Question: ছুটি কত প্রকার ও কি কি, রেফারেন্স কি এবং ব্যাখ্যাসহ আলোচনা ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Get 30% off your first purchase

X
error: Content is protected !!