উত্তরঃ কর্মী- প্রশিক্ষণ (EMPLOYEE TRAINING) : প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মীদের (যারা তত্ত্বাবধায়কদের অধীনে কর্মরত) প্রশিক্ষণ দানের জন্য নিলিখিত প্রশিক্ষণ পদ্ধতি অনুসরন করা হয়ঃ
ক) কর্মকালীন প্রশিক্ষণ (On- The Job Training) : সকল প্রকার শিক্ষার্থী-শ্রকিম কর্মীকে কোন প্রশিক্ষণের অধীনে কর্মকৌশল ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষাদান করার ব্যবস্থাই হল কর্মকালীন প্রশিক্ষণ। এতে শিক্ষার্থীদের উক্ত কাজ সম্পর্কে সম্যক ধারণা হয় ঠিকই, কিন্তু এতে অন্যান্য কর্মীদের অসুবিধা সৃষ্টি হয়।
খ) শিক্ষানবীশ প্রশিক্ষণ (Apprentice training) : দক্ষ তত্ত্বাবধায়কদের তদারকীতে এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হয় । প্রাচীনকাল থেকে এ পদ্ধতির ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। এ প্রশিক্ষণ পদ্ধতি শ্রেণী কক্ষে বক্তৃতা এবং প্রকৃত ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের দ্বারা শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করে। পরিনামে কর্মীর তাত্ত্বিক জ্ঞান এবং ব্যবহারিক জ্ঞান উভয়ই আয়ত্ব হয়। পেশাগত দিক দিয়ে এ প্রশিক্ষণ খুবই উপযোগী। শিক্ষানবীশ থাকা অবস্থায় কর্মীগণ নিহারে বেতন পায়। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ এক বৎসর হতে হয়/সাত বৎসর পর্যন্ত হতে পারে। চাকুরীর নিয়মিত বহালকরণের পূর্ব পর্যন্ত কর্মীদের অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটাতে হয়। এ পদ্ধতির এটাই হল খারাপ দিক।
গ) উপ-প্রকোষ্ঠ প্রশিক্ষণ (Vestibule training): এ পদ্ধতিতে শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত অনুরূপ ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি বা মেশিন স্থাপন করে একটি বিশেষ বাস্তবধর্মী শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ তত্ত্ববধায়ক বা ফোরম্যান এর দ্বারা কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এতে বিভাগীয় কাজ-কর্মে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় না এবং কর্মপ্রবাহ অব্যাহত থাকে। তবে এ বদ্ধতি ব্যয়বহুল।
ঘ) পরিচিতিমূলক প্রশিক্ষণ (Induction training): এ পদ্ধতিতে নতুন কর্মীকে প্রতিষ্ঠানের বা কোম্পানীর কর্মপরিবেশের সাথে পরিচয় করানো হয় এবং তাদের মনে কর্ম আগ্রহ, উৎসাহ ও উদ্দীপনা সঞ্চার করার চেষ্টা করা হয়। এ পদ্ধতির মাধ্যমে কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের চাকুরির সাধারণ নিয়মকানুন, শর্তাদি, শ্রমিক- কর্মী নীতি, কার্যপরিবেশ, কর্মপরিচালনার নীতি এবং প্রচলিত সুযোগ- সুবিধা সম্পর্কে এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং উৎপাদিত পণ্য সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এ প্রশিক্ষণের কল্যাণে নতুন কর্মীদের মনের অহেতুক ভয়ভীতি বা দুশ্চিন্তা দূর হয়। এবং কর্তৃপক্ষের উপর একটা আস্থারভাব সৃষ্টি হয়।
.
.
সংগ্রীহিত