৯৯। (১) যে সকল প্রতিষ্ঠানে অন্যূন ১০০ জন স্থায়ী শ্রমিক কর্মরত রহিয়াছেন, সেইখানে মালিক প্রচলিত বীমা আইন অনুযায়ী গ্রুপ বীমা চালু করিবেন।
(২) বীমা দাবীর টাকা এই আইনের অধীন শ্রমিকের অন্যান্য প্রাপ্যের অতিরিক্ত হইবে; তবে শর্ত থাকে যে, শ্রমিকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে বীমা দাবী আদায় মালিকের দায়িত্ব হইবে এবং মালিক উক্ত বীমা দাবী হইতে আদায়কৃত অর্থ পোষ্যদের সরাসরি প্রদানের ব্যবস্থা করিবেন: আরও শর্ত থাকে যে, অন্য আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুন না কেন, এই ধারা অনুযায়ী কোন বীমা দাবী উত্থাপিত হইলে উহা অনুর্ধ একশত বিশ দিনের মধ্যে বীমা কোম্পানী ও মালিক যৌথ উদ্যোগে নিস্পত্তি করিবেন।]
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ২৩২ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প সেক্টর অথবা শতভাগ বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগকারী শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প সেক্টরসহ অন্যান্য শিল্প সেক্টরে সরকার কর্তৃক কেন্দ্রীয় তহবিল স্থাপিত হইলে উক্ত শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য গ্রুপ বীমা করিবার প্রয়োজন হইবে না এবং এইরূপ ক্ষেত্রে শ্রমিকের গ্রুপ বীমার সমপরিমাণ অর্থ উক্ত তহবিল হইতে প্রদান করা হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কেন্দ্রীয় তহবিলের শতকরা ৫০ (পঞ্চাশ) ভাগ অর্থ গ্রুপ বীমার পরিবর্তে প্রদানের নিমিত্ত এবং অবশিষ্ট শতকরা ৫০ (পঞ্চাশ) ভাগ অর্থ শ্রমিকের কল্যাণে ব্যবহৃত হইবে।]