বিধি-১১১। মজুরি ও উহার রেকর্ড সংরক্ষণ:-
(১) প্রতিটি কারখানায় বা প্রতিষ্ঠানে ময়োজিত সকল শ্রমিকদের শ্রমিক রেজিস্টারের ক্রমানুসারে মঞ্জুরিকাল অনুযায়ী মজুরি পরিশোধের একটি রেকর্ড ফরম-৩৮ অনুযায়ী সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং মজুরি পরিশোধের শুন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাহার সুবিধা অনুযায়ী উহা কম্পিউটারে সংরক্ষণ করিতে পারিবে: তবে শর্ত থাকে যে, মজুরি পরিশোধকালে মুদ্রিত কপিতে রেভিনিউ স্ট্যাম্প ব্যবহার করিয়া শ্রমিকের স্বাক্ষর গ্রহণ করিতে হইবে।
(২) যদি কোন শ্রমিক তাহার মজুরি তাহার ব্যাংক হিসাবে গ্রহণ করিতে চাহেন তবে মালিক উহা ব্যাংক চেক অথবা সরাসরি ব্যাংক হস্তান্তর (Bank Transfer) এর মাধ্যমে পরিশোধ করিতে পারিবেন এবং মজুরি স্লিপ প্রদান করিবেন এবং এইক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ মহিলা শ্রমিকদের ব্যাংক হিসাব খোলা ও পরিচালনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করিবে।
(৩) প্রতি মজুরি মেয়াদে প্রত্যেক শ্রমিককে মজুরি পরিশোধের পূর্বে মালিক ফরম-৩৮ অনুযায়ী একটি মজুরি স্লিপ প্রদান করিবেন যাহাতে শ্রমিকের প্রাপ্য মজুরি, অধিকাল ভাতা,কর্তন (যদি থাকে) ও পরিশোধযোগ্য মোট মজুরি উল্লেখ থাকিবে।
(৪) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে যে কোন ধরনের শ্রমিককে কাজে নিয়োজিত করিবার পূর্বেই তাহার মজুরি ঘোষণা করিতে হইবে।
(৫) প্রতিটি কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকদের মধ্যে যাহারা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ১ (এক) বৎসর চাকুরি কাঠাে তাহাদেরকে বৎসরে দুইটি উৎসব ভাতা প্রদান করিতে হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিটি উৎসব ভাতা মাসিক মূল মজুরির অধিক হইবে না, উহা মজুরির অতিরিক্ত হিসাবে বিবেচিত হইবে:
তবে আরো শর্ত থাকে যে , যেই সকল ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত কোনো নিম্নতম মজুরি প্রযোজ্য নয় সেইসকল ক্ষেত্রে শ্রমিকের মূল মজুরি সাকুল্য (মোট) মজুরির ৫০% এর কম হইবে না এবং বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধির হার মূল মজুরির ৫% এর কম হইবে না। (সংশোধনী – ২০২২)
(৬) ঠিকাহার বা ফুরণ ভিত্তিক (পিস রেট) মজুরির হিসাব হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
(ক) কারখানার ফ্লোর ইন-চার্জের মাধ্যমে শ্রমিকদের নিকট হইতে প্রাথমিক ধারণা নিয়া উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বা মালিক ফুরণ ভিত্তিক (পিস রেট) মজুরি নির্ধারণ করিবেন;
(খ) ফুরণ ভিত্তিক (পিস রেট) মজুরি প্রদানকালে প্রত্যেক শ্রমিককে পে-স্লিপ প্রদান করিতে হইবে এবং পে-স্লিপে মজুরির খাতওয়ারী বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকিবে;
(গ) কোন প্রকৃতি (Style) এর ফুরণ ভিত্তিক (পিস রেট) মজুরির হার সম্পর্কে কোন পর্যায় হতে কোন আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকিবে;
(ঘ) আংশিক কাজের ক্ষেত্রে শ্রমিককে তাহার প্রাপ্য নির্ধারিত গ্রেডে ন্যূনতম মজুরিতে ঘাটতি থাকিলে উহা মালিক পূরণ করিয়া প্রদান করিবেন;
(ঙ) কাজের স্বল্পতার কারণে কোন মাসে কোন শ্রমিক মাসের সকল কর্মদিবসে উপস্থিত থাকিবার পরও নির্ধারিত গ্রেডের প্রাপ্য ন্যূনতম মজুরি অপেক্ষা কম মজুরি পাইলে কারখানা কর্তৃপক্ষকে উহা পূরণ করিতে হইবে;
(চ) গ্রেডে প্রাপ্য মজুরি বা ফুরণ ভিত্তিক (পিস রেট) মজুরির মধ্যে যাহা অধিক হইবে শ্রমিকদেরকে সেই মজুরি প্রদান করিতে হইবে;
(ছ) কারখানায় যদি কাজ না থাকে তাহা হইলে শ্রমিকদের নির্ধারিত গ্রেডের প্রাপ্য মূল মজুরি প্রদান করিতে হইবে;
(জ) ফুরণ ভিত্তিক (পিস রেট) মজুরি বিষয়ক উপরি-উক্ত বিধানসমূহ যথাযথভাবে বাস্ত বায়ন হচ্ছে কিনা উহা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নজরদারী করবে।