উত্তরঃ বিদ্যুৎ বিধিমালা ২০২২ এর পরিশিষ্ঠ -০২ অনুযায়ী ,
১। সি শ্রেনীর লাইসেন্সর ক্ষেত্রেঃ
(ক) বিদ্যুৎ সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারনাঃ
ইলেকট্রিসিটি এবং উহার শ্রেণিবিভাগ বিদ্যুৎ পরিবাহী, অপরিবাহী ও অর্ধপরিবাহী পদার্থের সাথে পরিচিতি, কারেন্ট, ভোল্টেজ, রেজিস্ট্যান্সের সংজ্ঞা এবং উহাদের একক সমূহের নাম, পরিমাপক যন্ত্রের নাম, বৈদ্যুতিক বর্তনী বা সার্কিটের সংজ্ঞা এবং উহার প্রকারভেদ, ওহমের সূত্র, খেওনিন্সের সূত্র, নরটন্স সূত্র, কার্শফের সূত্র, সিরিজ সার্কিট, প্যারালাল সার্কিট, মিশ্র সার্কিট, পাওয়ার, এনার্জির সংজ্ঞা ও উহার একক পরিমাপ পদ্ধতি, এ.সি. কারেন্ট, ফ্রিকোয়েন্সি, থ্রি-ফেজ এসি সার্কিট ও সার্কিটের পাওয়ার নির্ণয়, স্টার এবং ডেল্টা সার্কিট, স্টার ও ডেল্টা সার্কিটের মধ্যে সুবিধা অসুবিধা, স্টার এবং ডেল্টা কানেকটেড সার্কিটের কারেন্ট, ভোল্টের ও পাওয়ারের সম্পর্ক, সিংগেল লাইন ডায়াগ্রাম সম্পর্কে জ্ঞান, তার/ক্যাবলের সাইজ নির্ধারণ, বৈদ্যুতিক লোড, লোডের প্রকারভেদ এবং মোট লোড ক্যালকুলেশন সম্পর্কে ধারণা;
(খ) ওয়ার ও ক্যাবলঃ
ওয়্যার ও ক্যাবলের সংজ্ঞা পার্থক্য প্রকারভেদ-পি.ডি.সি (BYA/BYM/ NYY/FR/HT/LT/Network ক্যাবল, ইত্যাদি) ক্যাবলের গঠন ও বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, অসুবিধা এবং ব্যবহারের ক্ষেত্র, ফ্ল্যাক্সিবল কর্ড/ ফ্ল্যাক্সিবল ক্যাবল, ওয়েদার প্রুফ ক্যাবল, আরমার্ড ক্যাবল, বিবিটির গঠন, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, অসুবিধা এবং ব্যবহারের ক্ষেত্র- ক্যাবলের জয়েন্ট, জয়েন্টের শ্রেণিবিভাগ ও উহাদের ব্যবহার, জয়েন্টের বৈশিষ্ট্য এবং জয়েন্ট করিবার পদ্ধতি, ক্যাবলের ফেজ, নিউট্রাল এবং আর্থিং এর কালার কোড সম্পর্কে জ্ঞান:
(গ) হাউজ ওয়ারিং:
হাউজ ওয়্যারিং এর সংজ্ঞা ও শ্রেণিবিভাগ, বিভিন্ন প্রকার হাউজ ওয়্যারিং পদ্ধতি ও এর সুবিধা, অসুবিধা, ব্যবহার ক্ষেত্র -সুইচসকেট সুইচ বোর্ড / এসডিবি / ডিি এমডিবি / এমসিবি / এমসিসিবি ও জয়েন্ট বক্স – ইত্যাদির গঠন, বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার ক্ষেত্র ক্যাবলের সাইজ নির্বাচন এবং ব্যবহারের ক্ষেত্র নেটওয়ার্ক ওয়্যারিং-বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং ডিজাইন ও গ্রাম অংকন এবং ভায়াগ্রাে ব্যবহৃত প্রতীক চিহ্ন সম্পর্কে ধারণা, ওয়্যারিং এর কাজ সমাপ্তির পর বিভিন্ন টেস্ট পদ্ধতি, আর্থ রেমিট্যাপ পরিমাপ পদ্ধতি, ইনসুলেশন রেজিস্ট্যান্স পরিমাপের পতি, ওয়ারিং এর কন্টিনিউটি নিরবিচ্ছিন্নতা পরীক্ষা করিবার পদ্ধতি ও পোলারিটি টেস্ট করিবার পদ্ধতি;
(ঘ) হাউসহোল্ড এপ্লায়েন্সঃ
টিভি, বাড়ি, পাখা, কম্পিউটার, মাইক্রোওভেন, ওয়াশিং মেশিন, হিটার, কুকার, পাম্পের জন্য ছোট মোটর বৈদ্যুতিক ঘণ্টা, ইত্যাদির সংযোগ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষন সম্পর্কে ধারণা;
(ঙ) সার্ভিস কানেকশন ও বৈদ্যুতিক মিটার:
সার্ভিস কানেকশনের সংজ্ঞা, শ্রেণিবিভাগ, সার্ভিসকানেকশন করিবার পদ্ধতি, সিঙ্গেল ফেজ, থ্রি ফেজ মিটার, প্রিপেইড, পোস্ট পেইড, স্মার্ট মিটারিং সিস্টেম স্থাপন ও সংযোগ প্রদান:
(চ) পরিমাণ যন্ত্রপাতি ও সেফটি ডিভাইস:
ভোল্ট মিটার, এমিটার, মাল্টি মিটার, মেগার, আর্থ টেস্টার, ইত্যাদির সংযোগ ও ব্যবহার পদ্ধতি, সেফটি ডিভাইস ব্যবহারের পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয়তা:
(ছ) সোলার সিস্টেম ও ব্যাটারি:
সোলার সিস্টেমের মূলনীতি, প্রকারভেদ – সোলার হোম সিস্টেম, অন গ্রিড সিস্টেম, অফ গ্রিড সিস্টেম, প্যানেলের সিরিজ প্যারালেল সংযোগ সম্পর্কে জ্ঞান, সোলার প্যানেল, ইনভার্টার, ব্যাটারি মূলনীতি, প্রকারভেদ, চার্জিং, ডিসচার্জিং পদ্ধতি, ব্যাটারি সিস্টেম স্থাপন ও সংযোগ পদ্ধতি, হাইড্রোমিটারের ব্যবহার, আইপিএস, ইউপিএস, ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা;
আইন, বিদ্যুৎ বিধিমালা, ২০২০ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বিধিঃ
আইন ও বিদ্যুৎ বিধিমালা, ২০২০ সম্পর্কে ধারণা, বৈদ্যুতিক কাজে নিরাপত্তা বিধির প্রয়োজনীয়তা – অবশ্য পালনীয় নিরাপত্তা বিধিসমূহ, বৈদ্যুতিক কাজে দুর্ঘটনা সংঘটনের কারণ ও তার প্রতিকার, প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা, প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি ও বৈদ্যুতিক শকপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি।
২। ‘বি’ শ্রেণির লাইসেন্সের ক্ষেত্রে:
(ক) ডি. সি. জেনারেটর:
মূলনীতি – গঠন ও বিভিন্ন অংশের বর্ণনা, প্রকারভেদ, সান্ট, সিরিজ ও কম্পাউন্ড জেনারেটর এবং বৈশিষ্ট্য, ইন্টারপোল স্পার্কিং এর কারণ ও প্রতিকার, ক্যমুটেটর, ব্রাশের এডজাস্টমেন্ট ও মেইন্টেন্যান্স, ডি. সি. জেনারেটরের প্যারালাল অপারেশন ও সংযোগ পদ্ধতি:
(খ) ডি.সি. মোটরঃ
মূলনীতি – গঠন ও বিভিন্ন অংশের বর্ণনা, প্রকারভেদ, টর্ক, সান্ট, সিরিজ ও কম্পাউন্ড মোটর এবং বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার, স্টার্টিং পদ্ধতি, স্পিড কন্ট্রোল, ৩ পয়েন্ট স্টাটার ও ৪ পয়েন্ট স্টাটার সংযোগ পদ্ধতি, মোটরের প্রোটেকশন পদ্ধতি;
(গ) এ.সি. জেনারেটর বা অল্টারনেটর:
মূলনীতি -বিভিন্ন অংশের নাম, গঠন, সিনক্রোনাস বিয়ান্টেন্স, ফ্রিকুয়েন্সি নিয় ও ডোস্টেজ নিয়ন্ত্রণ, সিনক্রোনাইজেশন প্রক্রিয়া ও শর্তাবলি, ল্যাম্প টেস্ট পদ্ধতি, ডি. সি. জেনারেটর এবং এ. সি. জেনারেটরের মধ্যে পার্থক্য, অল্টারনেটরের সমান্তরাল অপারেশন ও সংযোগের পদ্ধতি, অটো ট্রান্সফার সুইচের কার্যপদ্ধতি ও ব্যবহার;
(ঘ) 4. সি. মোটর:
মূলনীতি – বিভিন্ন অংশের নাম ও কাজ, বিভিন্ন প্রকার মোটরের গঠন, কার্যপদ্ধতি ও ব্যবহারক্ষেত্র, ভেক্টর ডায়াগ্রাম, ইকুইভেলেন্ট সার্কিট, রেগুলেশন, স্লিপ, বিভিন্ন প্রকার মোটরের স্টার্টিং পদ্ধতি, ভাইরের অনলাইন স্টার্ট পদ্ধতি, স্টার ডেল্টা স্টার্ট পদ্ধতি, টর্ক ক্যালকুলেশন, মোটরের স্পিড কন্ট্রোল, ডিএফডি, মোটরের সমান্তরাল অপারেশন ও সংযোগ পদ্ধতি, মোটরের প্রোটেকশন পদ্ধতি, মোটরের মেন্টেন্যান্স, রিপেয়ার ও প্রিভেনশন।
(ঙ) লিফট, এস্কেলেটর, রেফ্রিলারেটর, এয়ারকন্ডিশন:
লিফট/জেটের গঠন, প্রকারভেদ, স্থাপন পদ্ধতি ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির নাম ও কাজ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষন সম্পর্কে ধারণা, রেফ্রিজারেটর/এয়ার কন্ডিশনের মূলনীতি, গঠন পদ্ধতি ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের নাম ও কাজ – প্রকারভেদ – পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে ধারনা!
৩। ‘এ’ শ্রেণির লাইসেন্সের ক্ষেত্রে:
(ক) পাওয়ার স্টেশন:
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পর্কিত প্রাথমিক জ্ঞান, পাওয়ার স্টেশনের প্রকারভেদ, বিভিন্ন প্রকার পাওয়ার স্টেশনের- মূলনীতি, কার্যপদ্ধতি, সুবিধা, অসুবিধা ও তুলনামূলক বিবরণ, জেনারেশন হতে ডিস্ট্রিবিউশন পর্যন্ত পাওয়ার সিস্টেম সিঙ্গেল লাইন ডায়াগ্রাম;
(খ) সাবস্টেশন/গ্রিড সাবস্টেশনঃ
প্রাথমিক ধারনা, প্রকারভেদ – সাবস্টেশনে ব্যবহৃত মন্ত্রাদির তালিকা, সাবস্টেশনের কাজ, সাবস্টেশনের লে-আউট প্লান, সিঙ্গেল লাইন ডায়াগ্রাম অংকন, সাবস্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণ, শর্ট সার্কিট, রিলে সেটিং, ডিসি সাপ্লাই, আর্থিং, অতি উচ্চ ও উচ্চ, মধ্যম এবং নিম্ন চাপের ক্ষেত্রে উহাদের নির্বাচন, স্থাপন ও ব্যবহার;
(গ) ট্রান্সফরমারঃ
মূলনীতি – বিভিন্ন অংশের বর্ণনা ও প্রকারভেদ, ট্রান্সফরমারের কার্যনীতি, ট্রান্সফরমারের ক্যাপাসিটি, কানেকশন ও ভেক্টর গ্রুপ, ট্রান্সফরমারের ভোল্টেজ ইক্যুয়েশন, ট্রান্সফরমার রেসিও, পোলারিটি, ভোল্টেজ রেগুলেশন, ফন্ট কারেন্ট নির্ণয়, বিভিন্ন প্রকার লস ও এফিসিয়েন্সি, ট্রান্সফরমার ট্যাপিং, আইডিয়াল ট্রান্সফরমার, অটো ট্রান্সফরমার, টেস্টিং এন্ড ক্যালিব্রেশন অফ ইন্সট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার (পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমার, কারেন্ট ট্রান্সফরমার), পাওয়ার ট্রান্সফরমার, ট্রান্সফরমারের প্যারালাল অপারেশনের শর্ত, বুখলস রিলে, ডিফারেন্সিয়াল প্রোটেকশন রিলে, ব্রিদার, ট্রান্সফরমার তেল, ট্রান্সফরমারের কুলিং সিস্টেম, ট্রান্সফরমার সংযোগ, অপারশেন, রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি, টেস্টিং এন্ড কমিশনিং অফ ট্রান্সফরমার:
(ঘ) সুইচ গিয়ার:
সুইচ গিয়ারের উপাদান, প্রকারভেদ -ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা, বিভিন্ন প্রকার ফিউজ ও সার্কিট ব্রেকারের ব্যবহার ক্ষেত্র নির্ণয় ও সংযোগ পদ্ধতি, শর্ট সার্কিট এবং রিলে সেটিং, ডিসিবি, এমওসিবি, ওসিনি, এসএফড, জিআইএস, এলবিএস, এসিবি, এমসিসিবি, এনসিবি, ইত্যাদির গঠন, বৈশিষ্ট্য, কার্যপ্রণালী, স্থাপন, টেস্টিং এন্ড কমিশনিং, সমস্যা নির্ণয় ও সমাধান পদ্ধতি, ডিসি কন্ট্রোল সিস্টেম সম্পর্কে ধারনা;
(ঙ) পাওয়ার ফ্যাক্টর ইম্প্রুভমেন্ট (পিএফআই):
পিএফআই এ ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের নাম ও কাজ, লো পাওয়ার ফ্যাক্টরের কারণ ও প্রভাব, পিএফআই এর সুবিধা, পাওয়ার ফ্যাক্টরের মান উন্নয়নের পদ্ধতি, ক্যাপাসিটর ব্যাংক ও রেজোন্যান্স সম্পর্কে জ্ঞান, ক্যাপাসিটর ব্যাংক ও ফিল্টার স্থাপন ও সংযোগ প্রদান;
(চ) ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইন:
ওভারহেড লাইন, ওভারহেড লাইনে ব্যবহৃত কন্ডাক্টরের প্রকারভেদ – নির্বাচন পদ্ধতি, তড়িৎ পরিবাহকের স্পেসিং, ব্রুস আর্মস, গার্ড ওয়্যারস, স্প্যানের দৈর্ঘ্য, ক্লিয়ারেন্স ফ্রম গ্রাউন্ড এন্ড বিল্ডিং, কম্পোনেন্ট অফ ওভারহেড লাইন, জয়েন্ট পদ্ধতি, স্যাগ পরিমাপ পদ্ধতি, ব্যালান্সার, বুশটার, ডেম্পার, ট্রাভেলিং ওয়েভ, লাইটেনিং এরেস্টর, ইত্যাদির গঠন ও ব্যবহার, ইনসুলেটর গঠন, প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার, টেস্টিং পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা, পোল বা টাওয়ার – শ্রেণিবিভাগ, স্থাপনের বিবেচ্য বিষয়াদি, আর্থিং অফ পোল বা টাওয়ার, এরিয়্যাল লাইন ও আন্ডার গ্রাউন্ড লাইন স্থাপন পদ্ধতি, ক্যাবল স্থাপন ও জোড়া দেয়া, করোনা ইফেক্ট, স্কিন ইফেক্ট, ফ্যারান্টি ইফেক্ট;
(ছ) আর্থিং ও লাইটেনিং প্রোটেকশন সিস্টেম:
আর্থিং এর সংজ্ঞা – প্রয়োজনীয়তা, বিভিন্ন প্রকার আর্থিং করিবার পদ্ধতি বর্ণনা, পাইপ আর্থিং ও প্লেট আর্থিং, লাইটেনিং প্রোটেকশন সিস্টেমের গুরত্ব, প্রয়োজনীয়তা, বিভিন্ন প্রকার লাইটেনিং প্রোটেকশন সিস্টেম করিবার পদ্ধতি বর্ননা।
.
.
.
বিদ্যুৎ আইন ও বিধি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন এবং উত্তর – মুল Menu তে ফিরে যেতে ক্লিক করুন
Electrical / Electricity মুল Menu তে ফিরে যেতে ক্লিক করুন
Maintenance & Electrical মুল Menu তে ফিরে যেতে ক্লিক করুন
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.