ইউরোপসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ভোল্টেজ ২২০ ভোল্ট কিন্তু জাপান (১০০ ভোল্ট) এবং আমেরিকার দেশগুলোতে ১১০ভোল্ট কেন এবং কোনটি আসলে বেশি সুবিধাজনক?

Spread the love
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

আমেরিকার ১১০ ভোল্টের পেছনে যার হাত তিনি হলেন এডিসন!

আমরা সবাই জানি যে, মোটাদাগে বিদ্যুৎকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় – এসি (অল্টারনেটিভ কারেন্ট) ও ডিসি (ডিরেক্ট কারেন্ট)। এডিসন সাহেবের আবিষ্কার হল ডিসি কারেন্ট (যেটা এখন বেশিরভাগ ব্যাটারিতে ব্যবহার করা হয়)। এডিসনের হাত ধরে আমেরিকাতে ডিসি ব্যবহার শুরু হল। সে সময় ডিসি সংযোগের ক্ষেত্রে এডিসন +১১০ ভোল্ট, ০ ভোল্ট ও -১১০ ভোল্টের তিনটি সংযোগ ব্যবহার করতেন। এর চেয়ে বেশি ভোল্টেজ ব্যবহার না করার পেছনের কারণ হল – সে সময় খুব ভাল ইনসুলেটর ছিল না। ইনসুলেটর হচ্ছে বৈদ্যুতিক তারের বাইরের আবরণ, যার কারণে তার ধরলেও আপনি শক খান না। ভাল ইনসুলেটর না থাকায় ১১০ ভোল্টের বেশি সংযোগে তারগুলো “নিরাপদ” থাকতো না। তাই ১১০ ভোল্টকে “নিরাপদ ভোল্টেজ”ও বলা হত।

পরবর্তীতে টেসলা সাহেবের হাত ধরে এসি কারেন্টের আগমন ঘটলে আমেরিকা তাদের আগের স্ট্যান্ডার্ড ধরে রেখে “নিরাপদ ভোল্টেজ” হিসেবে ১১০ ভোল্টকেই বেছে নেয়। কিন্তু ততদিনে ইনসুলেটরও বেশ উন্নত হয়ে গেছে। আর বেশি ভোল্টেজ ব্যবহার করলে বৈদ্যুতিক লাইনের লস (অপচয়) তুলনামূলকভাবে কমও হয়। এসব কারণ বিবেচনা করে ইউরোপের দেশগুলো ২২০ ভোল্টকে নিজেদের স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গ্রহণ করে।

জাপান যখন প্রথম বৈদ্যুতিক সংযোগ আনে তখন, তারা যন্ত্রপাতিগুলো (জেনারেটর, ট্রান্সফরমার ইত্যাদি) আমেরিকা থেকে আনে, যার ফলে তাদের স্ট্যান্ডার্ড ভোল্টেজও ১১০ ভোল্টের আশপাশে ১০০ ভোল্ট হয়।

আমাদের বাংলাদেশের অনেক প্রথা ইংল্যান্ড থেকে এসেছে (যেমন : রাস্তার বাম পাশ দিয়ে গাড়ি চালানো)। ঐভাবেই আমাদের ভোল্টেজ স্ট্যান্ডার্ড ২২০ ভোল্টও এসেছে ইংল্যান্ড থেকে।

2 thoughts on “ইউরোপসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ভোল্টেজ ২২০ ভোল্ট কিন্তু জাপান (১০০ ভোল্ট) এবং আমেরিকার দেশগুলোতে ১১০ভোল্ট কেন এবং কোনটি আসলে বেশি সুবিধাজনক?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Get 30% off your first purchase

X
error: Content is protected !!