Final Settlement বা চূড়ান্ত নিষ্পত্তিকরন: একজন শ্রমিককে চাকুরীর হতে লে-অফকৃত কারনে , মৃত্যুজনিত , ছাঁটাই, ডিসচার্জ, অপসারন, বরখাস্ত ,পদত্যাগ, অবসর অথবা অন্য যে ভাবেই চাকুরী হইতে বিচ্ছিন্ন করা হউক না কেন, কোম্পানী শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকের পাওনাদি (যেমন: অর্জিত ছুটি ইত্যাদি )পরিশোধ করার প্রক্রিয়াকেই Final Settlement বা চূড়ান্ত নিষ্পত্তিকরন বলে।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি কোন calculation, manually করতে পছন্দ করিনা। Excel format এ automatic calculation আকারে করতে পছন্দ করি যাতে আমার সময় নষ্ট না হয় এবং হিসাবগুলো নির্ভুল হয়। নিম্মে শ্রমিককে চাকুরীর হতে ছাঁটাই, ডিসচার্জ, অপসারন, বরখাস্ত ,পদত্যাগ, অবসর এর পাওনাধি ইত্যাদিগুলোর জন্য কিভাবে হিসাব করা হয় তা Excel format এ automatic calculation আকারে প্রত্যেকটির জন্য ০২ টি ( Sample এবং blank) format গুলো দেওয়া হলো।
১. লে -অফঃ
ধারা ২(৫৮) অনুসারে “লে-অফ” অর্থ কয়লা, শক্তি বা কাঁচা মালের স্বল্পতা, অথবা মাল জমিয়া থাকা অথবা যন্ত্রপাতি বা কল-কব্জা বিকল বা ভাঙ্গিয়া যাওয়ার কারণে কোন শ্রমিককে কাজ দিতে মালিকের ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি বা অক্ষমতা।
বিস্তারিত আরো তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
লে-অফ – ইপিজেডের জন্য:
লে-অফ খুব ভাল ভাবে বোঝার জন্য প্রথমে জানতে হবে একজন মালিক কি কারনে প্রতিষ্ঠান লে-অফ করতে পারেন।
ধারা-২(৪৫) অনুযায়ী “লে-অফ” অর্থ কয়লা, শক্তি বা কাঁচা মালের স্বল্পতা, অথবা মাল জমিয়া থাকা অথবা যন্ত্রপাতি বা কলকব্জা বিকল বা ভাঙ্গিয়া যাওয়ার কারণে কোন শ্রমিককে কাজ দিতে মালিকের ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি বা অক্ষমতা;
ইপিজেড শ্রম আইনের ধারা-১৫ অনুয়ায়ী একজন মালিক বছরে অবিচ্ছিন্ন বা বিচ্ছিন্নভাবে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ দিনের জন্য লে-অফ করতে পারেন।
তবে মালিকের সাথে যদি শ্রমিকের কোন চুক্তি থাকে,তাহলে ৪৫ দিনের অধিক সময় পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান লে-অফ করে রাখা যাবে এবং ৪৫ দিনের অধিক সময়ের জন্য কর্মী মজুরী পাইবেন।
৪৫ দিনের মজুরীর হার হবে মূল মজুরীর ৫০% এবং আবাসিক কোন ভাতা থাকিলে তাহার সর্ম্পূণ পাইবেন।
কিন্তু কর্মীর সাথে যদি মালিকের কোন চুক্তি না থাকে,তবে ৪৫ দিনের পরে অধিক সময়ের জন্য যদি প্রতিষ্ঠান লে-অফ করা হয়।
তাহলে আরও ১৫ দিনের মজুরী কর্মী প্রাপ্য হবেন এবং ইহার হার হবে মূল মজুরীর চার ভাগের এক ভাগ ও আবাসিক ভাতার সর্ম্পূণ অংশ।
লে-অফের সুবিধা প্রাপ্তির জন্য চাকুরীর বয়স এক বছর হতে হবে এবং এছাড়াও সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোর জন্য কোন মজুরী পাইবেন না।
২. মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরনঃ
যদি কোন শ্রমিক কোন মালিকের অধীন অবিচ্ছিন্নভাবে অন্ততঃ ০২(দুই) বৎসরের অধিককাল চাকুরীরত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে মালিক মৃত শ্রমিকের কোন মনোনীত ব্যক্তি বা মনোনীত ব্যক্তির অবর্তমানে তাহার কোন পোষ্যকে তাহার প্রত্যেক পূর্ণ বৎসর বা উহার ০৬ (ছয়) মাসের অধিক সময় চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩০(ত্রিশ) দিনের এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় অথবা কর্মকালীন দুর্ঘটনার কারণে পরবর্তীতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মজুরী অথবা গ্রাচুইটি, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন, এবং এই অর্থ মৃত শ্রমিক চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ করিলে যে অবসর জনিত সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন, তাহার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হইবে।বিস্তারিত আরো তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
মৃত্যুজনিত সুবিধা ইপিজেডের জন্য
বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম অধ্যাদেশ ২০১৯ এর ধারা-১৮ অনুযায়ী কোন কর্মীকে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ খুব ভাল ভাবে বুঝতে হলে আপনাকে চারটি জিনিস ভাল ভাবে লক্ষ্য করতে হবে।
১। কর্মীর চাকুরীর বয়স ১ বছরের বেশি হতে হবে।
২। চাকুরীরত থাকাকালীন অবস্থায় মৃত্যুবরন।
৩। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরন।
৪। কর্মকালীন দুর্ঘটনার কারনে পরর্বতীতে মৃত্যুবরন।
প্রথমত, আপনাকে বুঝতে হবে, কে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ পাবে এবং কে পাবে না?
যে ব্যক্তির চাকুরীর বয়স অবিচ্ছিন্নভাবে অন্তত ১ বছরের অধিকাল হয়েছে তিনিই শ্রম অধ্যাদেশের ১৮ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকারী হইবেন।
চাকুরীর বয়স যদি কোন কারনে ১ বছরের বেশি না হয়, কোন ভাবেই ১৮ ধারার ক্ষতিপূরণ পাবে না।
প্রথম শর্তপূরন হলে, আপনাকে অন্য তিনটি শর্ত বিবেচনায় আনতে হবে।
১। চাকুরীরত থাকা অবস্থায়।
চাকুরীরত ব্যপারটা কি আসলে?
আপনি একটা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন কিন্তু আপনি কর্মঘন্টার বাহিরে বা ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে যে কোন ভাবে মারা গেলে।
প্রতিবছর বা ছয় মাসের অধিক সময়ের কাজের জন্য ১ টি করে বেসিক পাবে আপনার পোষ্য।
২। কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরন।
আপনি একজন কর্মী কর্ম ঘন্টার মধ্যে কর্মস্থালে বা কর্মস্থলের বাহিরে অফিসের কাজে থাকা অবস্থায় যে কোন ভাবে মৃত্যুবরন করলে।
আপনার পোষ্যরা প্রতিবছর বা ছয় মাসের অধিক সময় কাজের জন্য ৪৫ দিন করে মজুরি পাবেন।
৩। কর্মকালীন দুর্ঘটনা কারনে পরর্বতীতে মৃত্যুবরন।
আপনি একজন কর্মী কাজ করতে গিয়ে আহত হলেন এবং পরর্বতীতে ১ বা ২ মাস পরে মারা গেলেন।
আপনার পোষ্য ৬ মাস বা ১ বছর কাজের জন্য ৪৫ দিন করে মজুরী পাবেন।
সবার শেষে আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে এই লাইনটি
“এই অর্থ মৃত শ্রমিক চাকুরী হইতে অবসর গ্রহন করিলে যে অবসরজনিত সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন, তাহার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হইবে।”
তার অর্থ হল একজন মৃত শ্রমিকের পোষ্য ১৮ ধারার ক্ষতিপূরণ পাইবেন এবং তার অতিরিক্ত হিসাবে শ্রম অধ্যাদেশের ধারা-২৪ অনুযায়ী প্রতিবছর কাজের জন্য ৪৫ দিনের বেসিক পাইবেন।
Collected
৩. বাৎসরিক ছুটিঃ
ধারা ১১৭ অনুযায়ী ,প্রতি ১৮ কর্মদিবসের জন্য ০১ দিনে অর্জিত ছুটি প্রাপ্ত হয় ।
৪. ছাঁটাইঃ
২০। (২) কোন শ্রমিক যদি কোন মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে অনূ্যন এক বৎসর চাকুরীতে নিয়োজিত থাকেন, তাহা হইলে তাহার ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে মালিককে- (ক) তাহার ছাঁটাইয়ের কারণ উল্লেখ করিয়া এক মাসের লিখিত নোটিশ দিতে হইবে, অথবা নোটিশ মেয়াদের জন্য নোটিশের পরিবর্তে মজুরী প্রদান করিতে হইবে; (খ) নোটিশের একটি কপি প্রধান পরিদর্শক অথবা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কোন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে, এবং আরেকটি কপি প্রতিষ্ঠানের যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধিকে, যদি থাকে, দিতে হইবে; এবং (গ) তাহাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ত্রিশ দিনের মজুরী বা গ্রাচু্যইটি যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিতে হইবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ১৬(৭) এর অধীন ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) (ক) এর উল্লিখিত কোন নোটিশের প্রয়োজন হইবে না, তবে ছাঁটাইকৃত শ্রমিককে উপ-ধারা (২) (গ) মোতাবেক প্রদেয় ক্ষতিপূরণ বা গ্রাচ্যুইটির অতিরিক্ত হিসাবে আরোও পনের দিনের মজুরী দিতে হইবে।
(৪) যে ক্ষেত্রে কোন বিশেষ শ্রেণীর শ্রমিককে ছাঁটাই করার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে, মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে এতদসংক্রান্ত কোন চুক্তির অবর্তমানে, মালিক উক্ত শ্রেণীর শ্রমিকগণের মধ্যে সর্বশেষে নিযুক্ত শ্রমিককে ছাঁটাই করিবেন।
.
বিস্তারিত আরো তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
৫. ডিসচার্জঃ
ধারা ২২(২) অনুযায়ী , ডিসচার্জকৃত কোন শ্রমিক অনূ্ন্য এক বৎসর অবিচ্ছিন্ন চাকুরী সম্পূর্ণ করিলে তাহাকে মালিক তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরী অথবা গ্রাচ্যুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন।
বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ২২(২) অনুযায়ী , একজন কর্মীকে তিনটি কারনে ডিসচার্জ করা যাবে।
১. শারীরিক অক্ষমতা।
২. মানসিক অক্ষমতা।
৩. অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্য।
যদি কোন ডাক্তার উক্ত তিনটি কারনের মধ্যে একটির জন্য কোন কর্মীকে কাজে অক্ষম বলে সনদ প্রদান করেন তবে তাকে শ্রম আইনের ধারা-২২ অনুযায়ী ডিসচার্জ করা যাবে।
তবে উক্ত ডাক্তারের সনদের বিষয়ে যদি মালিক বা শ্রমিক অসন্তুষ্ট হয়, তবে সনদ প্রদানের ১০ দিনের মধ্যে মালিক বা শ্রমিক নিজ খরচে যেকোন সরকারী মেডিকেল কলেজের কমপক্ষে সহকারী অধ্যাপক সমমানের একজন বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করাবেন এবং তিনি যদি একই মত পোষণ করেন।
তবে উক্ত কর্মীকে ডিসচার্জ করা যাবে,যদি তিনি পূর্ববতী ডাক্তারের সাথে অক্ষমতার বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন,তবে উক্ত কর্মীকে ডিসচার্জ করা যাবে না।
কোন কর্মীকে ডিসচার্জ করার জন্য অগ্রিম কোন নোটিশের প্রয়োজন নেই।তবে প্রতিবছর কাজের জন্য একটি করে বেসিক প্রদান করতে হবে।
.
বিস্তারিত আরো তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
৬. অপসারনঃ
২৩(৩) উপ-ধারা ২৩(২) (ক) এর অধীন অপসারিত কোন শ্রমিককে, যদি তাহার অবিচ্ছিন্ন চাকুরীর মেয়াদ অন্যুন এক বৎসর হয়, মালিক ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রত্যেক সম্পুর্ণ চাকুরী বৎসরের জন্য ১৫ দিনের মজুরী প্রদান করিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, কোন শ্রমিককে উপ-ধারা (৪) (খ) ও (ছ) এর অধীন অসদাচরণের জন্য বরখাস্ত করা হইলে তিনি কোন ক্ষতিপূরণ পাইবেন না। তবে এইরূপ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক তাহার অন্যান্য আইনানুগ পাওনাদি যথা নিয়মে পাইবেন।
বিস্তারিত আরো তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
৭. বরখাস্তঃ
ধারা ২৬ এর (১),(২),(৩) অনুযায়ী ,
২৬৷ (১) এই অধ্যায়ের অন্যত্র বিধৃত কোন পন্থা ছাড়াও মালিক- (ক) মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের তেগত্রে, একশত বিশ দিনের, (খ) অন্য শ্রমিকের তেগত্রে, ষাট দিনের, লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া কোন স্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে পারিবেন৷
(২) এই অধ্যায়ের অন্যত্র বিধৃত কোন পন্থা ছাড়াও মালিক- (ক) মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে, ত্রিশ দিনের, (খ) অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে, চৌদ্দ দিনের, লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া কোন অস্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে পারিবেন, যদি না এই অবসান যে অস্থায়ী কাজ সম্পাদনের জন্য শ্রমিককে নিযুক্ত করা হইয়াছে উহা সম্পূর্ণ হওয়া, বন্ধ হওয়া, বিলুপ্ত হওয়া বা পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে হয়৷
(৩) যে ক্ষেত্রে মালিক বিনা নোটিশে কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে চাহেন সে ক্ষেত্রে, তিনি উপ-ধারা (১) অথবা (২) এর অধীন, প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরী প্রদান করিয়া ইহা করিতে পারিবেন৷
বিস্তারিত আরো জানতে চাইলে ক্লিক করুন
৮. পদত্যাগ
২৭৷ (১) কোন স্থায়ী শ্রমিক মালিককে ষাট দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া তাহার চাকুরী হইতে ইস্তফা দিতে পারিবেন৷
(২) কোন অস্থায়ী শ্রমিক- (ক) মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে, ত্রিশ দিনের, (খ) অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে, চৌদ্দ দিনের, লিখিত নোটিশ মালিকের নিকট প্রদান করিয়া তাহার চাকুরী হইতে ইস্তফা দিতে পারিবেন৷
(৩) যে ক্ষেত্রে শ্রমিক বিনা নোটিশে চাকুরী হইতে ইস্তফা দিতে চাহেন সে ক্ষেত্রে, তিনি উপ-ধারা (১) অথবা (২) এর অধীন প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরীর সমপরিমাণ অর্থ মালিককে প্রদান করিয়া ইহা করিতে পারিবেন৷
(৩ক) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন শ্রমিক বিনা নোটিশে অথবা বিনা অনুমতিতে ১০ দিনের অধিক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকিলে মালিক উক্ত শ্রমিককে ১০ দিনের সময় প্রদান করিয়া এই সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করিতে এবং চাকুরীতে পুনরায় যোগদানের জন্য নোটিশ প্রদান করিবেন এবং এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান বা চাকুরীতে যোগদান না করিলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে তাহার আত্নপক্ষ সমর্থনের জন্য আরো ৭দিন সময় প্রদান করিবেন। তাহাতেও যদি সংশ্লিষ্ট শ্রমিক চাকুরীতে যোগদান অথবা আত্নপক্ষ সমর্থন না করেন তবে, উক্ত শ্রমিক অনুপস্থিতির দিন হইতে [ চাকুরি হইতে ইস্তফা দিয়াছেন] বলিয়া গণ্য হইবেন।
বিস্তারিত আরো তথ্য জানতে ক্লিক করুন
৯. অবসর
ধারা ২(১) এ “অবসর” অর্থ এই আইনের ২৮(১) ধারা অনুযায়ী [ শ্রমিকের ৬০ বছর পূর্ন হলে] কোন শ্রমিকের নির্দিষ্ট বয়সে উপনীত হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে চাকুরীর অবসান। তবে কোন প্রতিষ্ঠানে ২৫ বছর চাকুরী পূর্ণ হওয়ার প্রেক্ষিতে শ্রমিকের স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণকেও অবসর বলিয়া গণ্য হইবে।
বিস্তারিত আরো তথ্য জানতে ক্লিক করুন
.
.
মূল Menu (HR-Human Resource ) এ ফিরে যেতে