১৫৫। (১) জখমের ফলে মৃত কোন শ্রমিক সম্পর্কে প্রদেয় কোন ৰতিপূরণ এবং আইনগত অক্ষমতার অধীন কোন ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদেয় থোক অর্থ শ্রম আদালতে জমা দেওয়া ব্যতীত ভিন্ন কোন পন্থায় পরিশোধ করা যাইবে না।
(২) উপ-ধারা (১) এ উলিস্নখিত কোন ৰতিপূরণ যদি মালিক সরাসরিভাবে পরিশোধ করিয়া থাকেন, তাহা হইলে উহা ক্ষতিপূরণ পরিশোধ বলিয়া গণ্য হইবে না, যদি না সংশিস্নষ্ট শ্রমিক তাহার চাকুরীকালে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় জখমজনিত কারণে তাহার মৃতু্যর ৰেত্রে ৰতিপূরণ গ্রহণের জন্য তাহার কোন উত্তরাধিকারীকে মনোনীত করিয়া থাকেন, এবং সেই মনোনীত উত্তরাধিকারীকে ৰতিপূরণ প্রদত্ত হইয়া থাকে।
(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহাই থাকুক না কেন, কোন মৃত শ্রমিকের ক্ষেত্রে তাহার কোন পোষ্যকে মালিক ক্ষতিপূরণ বাবদ অগ্রিম অর্থ প্রদান করিতে পারিবেন, এবং শ্রম আদালত উক্ত পোষ্যকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ হইতে উক্ত অগ্রিম কর্তন করিয়া উহা মালিককে ফেরত দিবে1[: তবে শর্ত থাকে যে, কোন মৃত শ্রমিকের ক্ষেত্রে মৃতের দাফন-কাফন বা চিকিৎসা, মৃত দেহ পরিবহণ ইত্যাদি বাবদ কোন অর্থ প্রদান করা হইলে মালিক কর্তৃক অগ্রিম প্রদানকৃত কোন অর্থ কিংবা শ্রম আদালতের মাধ্যমে পোষ্যকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ হইতে উক্ত অর্থ কর্তন করা যাইবে না।]
(৪) ৰতিপূরণ বাবদ প্রদেয় অন্য কোন অর্থ উহা পাওয়ার অধিকারী ব্যক্তির পৰে শ্রম আদালতে জমা করা যাইবে।
(৫) শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রশিদ উহাতে জমাকৃত ৰতিপূরণ সম্পর্কে যথেষ্ট দায়মুক্তি হইবে।
(৬) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন মৃত শ্রমিক সম্পর্কে ৰতিপূরণ বাবদ কোন অর্থ জমা হইলে শ্রম আদালত প্রয়োজনবোধে, তৎকর্তৃক বিবেচিত উপযুক্ত পন্থায়, নোটিশ প্রকাশ করিয়া অথবা প্রত্যেক পোষ্যের উপর উহা জারী করিয়া ৰতিপূরণ বন্টন নির্ধারণের জন্য তৎকর্তৃক নির্ধারিত তারিখে উহার সম্মুখে হাজির হওয়ার জন্য তাহাদিগকে নির্দেশ দিতে পারিবে।
(৭) যদি শ্রম আদালত তৎকর্তৃক প্রয়োজনীয় কোন তদন্ত সমাপনান্তে এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন পোষ্য বিদ্যমান নাই, তাহা হইলে আদালত, জমার তারিখ হইতে অনূ্যন দুই বৎসর পর উহার নিকট জমা অবন্টিত অর্থ শ্রমিকগণের কল্যাণের জন্য, সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্দিষ্ট অথবা স্থাপিত কোন তহবিলে হস্তান্তর করিবে।
(৮) মালিক দরখাস্ত করিলে শ্রম আদালত তৎকর্তৃক বন্টনকৃত অর্থের একটি বিসত্দারিত বর্ণনা তাহাকে সরবরাহ করিবে।
(৯) কোন মৃত শ্রমিক সম্পর্কে জমাকৃত ৰতিপূরণ, উপ-ধারা (৩) এর অধীন কর্তন সাপেৰে, মৃত শ্রমিকের পোষ্যগণের মধ্যে অথবা তাহাদের কাহারও মধ্যে এমন অনুপাতে বন্টন করা হইবে, যাহা শ্রম আদালত উপযুক্ত বিবেচনা করিবে, অথবা আদালত নিজ বিবেচনায় যে কোন একজন পোষ্যকে উহা বরাদ্দ করিতে পারিবে।
(১০) যে ক্ষেত্রে শ্রম আদালতে জমাকৃত কোন ৰতিপূরণ কোন ব্যক্তিকে প্রদেয় হয় সে ৰেত্রে শ্রম আদালত, যে ব্যক্তিকে উহা প্রদেয় তিনি যদি কোন আইনগত অৰমতার অধীন না হন তাহা হইলে, তাহাকে প্রদান করিবে এবং অন্যান্য ৰেত্রে যিনি উহা পাওয়ার অধিকারী, তাহাকে প্রদান করিতে পারিবে।
(১১) যে ক্ষেত্রে আদালতে জমাকৃত কোন থোক অর্থ আইনগত অৰমতার অধীন কোন ব্যক্তিকে প্রদেয় হয় সে ৰেত্রে, উক্ত অর্থ উক্ত ব্যক্তির উপকারার্থে তাহার অৰমতাকালীন সময়ে শ্রম আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বিনিয়োগ বা ব্যবহার করা যাইবে।
(১২) যে ক্ষেত্রে আইনগত অৰমতার অধীন কোন ব্যক্তিকে অর্ধ মাসিক ৰতিপূরণ প্রদেয় হয় সে ৰেত্রে, আদালত স্ব-ইচ্ছায় অথবা কোন দরখাসত্দের পরিপ্রেৰিতে উক্ত ৰতিপূরণ তাহার অৰমতাকালীন সময়ে সংশিস্নষ্ট শ্রমিকের কোন পোষ্যকে, অথবা আদালতের বিবেচনায় উক্ত শ্রমিকের কল্যাণ ব্যবস্থা করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রদান করার জন্য আদেশ দিতে পারিবে।
(১৩) যে ক্ষেত্রে কোন দরখাস্তের পরিপ্রেৰিতে অথবা অন্যভাবে শ্রম আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন মাতা বা পিতা কর্তৃক উহার সনত্দানের অবহেলার কারণে, অথবা কোন পোষ্যের পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে, অথবা অন্য কোন পর্যাপ্ত কারণে, ৰতিপূরণ হিসাবে পরিশোধিত কোন অর্থ বন্টন সম্পর্কে শ্রম আদালতের কোন আদেশ অথবা উক্তরূপ কোন পোষ্যকে প্রদেয় ৰতিপূরণের বিনিয়োগ বা ব্যবহার সম্পর্কিত উহার কোন আদেশ পরিবর্তন করা উচিত, তাহা হইলে আদালত উহার উক্ত আদেশ পরিবর্তন করার জন্য অবস্থার পরিপ্রেৰিতে যেরূপ নূতন আদেশ দেওয়া প্রয়োজন সেরূপ আদেশ দিতে পারিবেঃ তবে শর্ত থাকে যে, যদি উক্তরূপ কোন আদেশ কোন ব্যক্তির জন্য হানিকর হয়, তাহা হইলে তাহাকে উক্ত আদেশের বিরম্নদ্ধে কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়া, অথবা কোন ৰেত্রে যদি উক্ত আদেশের ফলে কোন পোষ্য কর্তৃক তাহাকে পরিশোধিত কোন ৰতিপূরণ ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহা হইলে উক্তরূপ কোন আদেশ প্রদান করা যাইবে না।
(১৪) যে ক্ষেত্রে শ্রম আদালত উপ-ধারা (১৩) এর অধীন কোন আদেশ এই কারণে পরিবর্তন করে যে, কোন ব্যক্তিকে পরিশোধিত ৰতিপূরণ তিনি প্রতারণা, মিথ্যা পরিচয়, অথবা অন্য কোন অসংগত উপায়ে হাছিল করিয়াছেন সে ক্ষেত্রে উক্ত পরিশোধিত ৰতিপূরণ তাহার নিকট হইতে ধারা ৩২৯ এর বিধান অনুযায়ী উসুল করা যাইবে।
এ সংক্রান্ত আরো তথ্য পেতে নিম্মোক্ত বিধিগুলো দেখুন
১৩৬। ক্ষতিপূরন গ্রহনের জন্য উত্তোরাধিকারী মনোয়ন
১৩৭। ক্ষতিপূরনের অর্থ শ্রম আদালতে জমা প্রদান
১৩৯। শ্রম আদালতের ক্ষতিপূরনের অর্থ জমা প্রদানের আবেদন