১৩২। মজুরী হইতে কর্তন বা মজুরী বিলম্বে পরিশোধের কারণে উত্থিত দাবী

Spread the love
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

১৩২। (১) যে ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানের খেলাপ 1[ করিয়া] কোন শ্রমিকের মজুরী হইতে কোন কর্তন করা হয় অথবা কোন শ্রমিকের মজুরী পরিশোধ করা না হয় অথবা তাহার মজুরী কিংবা কোন বিধির আওতায় প্রদেয় গ্রাচুইটি বা ভবিষ্য তহবিলের প্রাপ্য পরিশোধে বিলম্বে ঘটে সে ক্ষেত্রে তিনি, অথবা তাহার মৃতু্য হইলে তাহার কোন উত্তরাধিকারী অথবা কোন আইনসঙ্গত প্রতিনিধি কর্তৃক মজুরী ফেরত পাওয়ার জন্য অথবা বকেয়া বা বিলম্বিত মজুরী ও অন্যান্য পাওনা আদায়ের জন্য শ্রম আদালতে দরখাসত্দ করিতে পারিবেন। 

(২) উক্তরূপ দরখাসত্দ, সংশিস্নষ্ট শ্রমিক যে স্থানে কাজ করিতেন অথবা যে স্থানে তাহাকে মজুরী পরিশোধ করা হইত সে স্থান যে শ্রম আদালতের এখতিয়ারাধীন, সে শ্রম আদালতে মজুরী কর্তনের তারিখ হইতে অথবা, ক্ষেত্রমত, মজুরী প্রদেয় হওয়ার তারিখ হইতে বারো মাসের মধ্যে পেশ করিতে হইবেঃ তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন দরখাস্ত উক্ত সময়ের পরেও পেশ করা যাইবে যদি দরখাস্তকারী শ্রম আদালতকে এই মর্মে সন্তুষ্ট করিতে পারেন যে, উক্ত সময়ের মধ্যে দরখাসত্দ দাখিল না করার পিছনে তাহার যথেষ্ট কারণ ছিল। 

(৩) শ্রম আদালত উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন দরখাসত্দ প্রাপ্তির পর উহার উপর দরখাসত্দকারী এবং মালিক অথবা মজুরী পরিশোধের জন্য এই অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী দায়ী অন্য কোন ব্যক্তিকে শুনানীর জন্য যুক্তসংগত সুযোগ দান করিবে এবং প্রয়োজনীয় সাৰ্য প্রমাণ গ্রহণ করিবে, এবং যে মজুরী কর্তন করা হইয়াছে বা যে মজুরী পরিশোধ করা হয় নাই বা পরিশোধে বিলম্ব করা হইতেছে উহা দরখাসত্দকারীকে পরিশোধ করিবার জন্য মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী উক্ত ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে। 

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন আদেশ এই আইনের অধীন উক্ত মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরম্নদ্ধে গ্রহণীয় কোন শাসত্দিমূলক ব্যবস্থার হানি করিবে না। 

(৫) শ্রম আদালত উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশের সময় মজুরীর শতকরা পঁচিশ ভাগ ৰতিপূরণ হিসাবে দরখাস্তকারীকে প্রদানের জন্যও মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে। 

(৬) মজুরী পরিশোধে বিলম্বের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (৫) এর অধীন ৰতিপূরণ প্রদানের জন্য কোন নির্দেশ দেওয়া যাইবে না, যদি শ্রম আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত বিলম্বের কারণ ছিল- (ক) শ্রমিককে প্রদেয় মজুরীর পরিমাণ সম্পর্কে প্রকৃত ভুল বা প্রকৃত বিরোধ; (খ) কোন জরম্নরী অবস্থা অথবা বিশেষ পরিস্থিতির কারণে মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তি কর্তৃক তাহার যুক্তিসংগত চেষ্টা সত্ত্বেও যথাসময়ে উহা প্রদান করিতে অৰমতা; অথবা (গ) মজুরী গ্রহণে অথবা উহার জন্য দরখাসত্দ করিতে শ্রমিকের ব্যর্থতা। 

(৭) এই ধারার অধীন কোন দরখাসত্দ শুনানীকালে যদি শ্রম আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত দরখাস্ত বিদ্বেষ প্রসূত অথবা বিরক্তিকর তাহা হইলে আদালত দরখাসত্দকারীকে অনধিক দুইশত টাকা পর্যনত্দ জরিমানা করিতে পারিবে এবং উহা মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে প্রদান করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।

এ সম্পর্কিত আরো তথ্য পেতে

বিধি ১২০। মজুরী পরিশোধের জন্য শ্রম আদালতে দরখাস্ত

এ সংক্রান্ত আরো তথ্য পেতে বিধি- ২০৫। শ্রম আদালত বা আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Get 30% off your first purchase

X
error: Content is protected !!