১৬৩। মাষ্টার ও নাবিকের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধান

Spread the love
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

১৬৩। (১) এই অধ্যায়, এই ধারার বিধান সাপেৰে, কোন জাহাজের মাষ্টার অথবা নাবিকের ৰেত্রে প্রযোজ্য হইবে।   

(২) কোন দুর্ঘটনার নোটিশ ও ক্ষতিপূরণের দাবী, যে ৰেত্রে জখমপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি জাহাজের মাষ্টার সে ক্ষেত্রে ব্যতীত, জাহাজের মাষ্টারের উপর জারী করা হইবে যেন তিনিই মালিক, কিন্তু যে ৰেত্রে দুর্ঘটনা জাহাজেই ঘটে এবং অ ক্ষ মতা জাহাজে শুরম্ন হয় সে ৰেত্রে কোন নাবিকের পক্ষে দুর্ঘটনার কোন নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন হইবে না।   

(৩) কোন মাষ্টার অথবা নাবিকের মৃতু্যর ৰেত্রে ক্ষতিপূরণের দাবী দাবীকারী কর্তৃক মৃতু্যর খবর পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে, অথবা যে ৰেত্রে জাহাজটি উহার সকলকে নিয়া হারাইয়া গিয়াছে, অথবা হারাইয়া গিয়াছে বলিয়া গণ্য হয়, সে ৰেত্রে হারাইয়া যাওয়ার বা গিয়াছে বলিয়া গণ্য হওয়ার তারিখ হইতে আঠারো মাসের মধ্যে করিতে হইবে।   

(৪) যে ক্ষেত্রে জখমপ্রাপ্ত মাষ্টার অথবা নাবিককে বিদেশে কোথাও ডিসচার্জ করা হয় অথবা ছাড়িয়া আসা হয়, সে ক্ষেত্রে সেই দেশের কোন বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা ঐ দেশে কোন কনসু্যলার কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত এবং তৎকর্তৃক সরকারের নিকট প্রেরিত কোন সাৰ্য কোন দাবী আদায় সংক্রান্ত কার্যক্রমে সাৰ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে, যদি-   

(ক) সাক্ষ্য উক্ত বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট অথবা কনসু্যলার কর্মকর্তার স্বাৰর দ্বারা প্রমাণিকৃত হয়;   

(খ) বিবাদী অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তি সাক্ষীকে জেরা করিবার সুযোগ পান; এবং   

(গ) সাক্ষ্যটি কোন ফৌজদারী কার্যক্রমে গৃহীত হইলে ইহা প্রমাণ করা হয় যে, সাক্ষ্য অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে গৃহীত হইয়াছিল;   এবং কোন ক্ষেত্রে উক্তরূপ সাৰ্য দসত্দখত করিয়াছেন বলিয়া দৃষ্ট ব্যক্তির দস্তখত বা পদমর্যাদা প্রমাণ করার প্রয়োজন হইবে না, এবং বিবাদী অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তি সাৰীকে জেরা করিবার সুযোগ পাইয়াছিলেন এবং সাক্ষ্য , ফৌজদারী কার্যক্রমের ক্ষেত্রে , অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে গৃহীত হইয়াছিল এই মর্মে উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত কোন প্রত্যয়নপত্র ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, তিনি উক্তরূপ সুযোগ পাইয়াছিলেন এবং উহা উক্তরূপে গৃহীত হইয়াছিল ইহার পর্যাপ্ত প্রমাণ হইবে।   

(৫) বাংলাদেশে প্রচলিত বাণিজ্যিক জাহাজ সম্পর্কিত কোন আইনের অধীন জাহাজের মালিক জখম প্রাপ্ত মাষ্টার এবং নাবিকের কোন সময়ের জন্য খোরপোষ বহন করিতে বাধ্য হইলে ঐ সময়ের জন্য ৰতিপূরণ বাবদ কোন মাসিক অর্থ প্রদেয় হইবে না।   

(৬) অবসর ভাতা (নৌ, সেনা, বিমান বাহিনী এবং বাণিজ্য-নৌ) আইন, ১৯৩৯ এর অধীন প্রণীত যুদ্ধ অবসর ভাতা এবং আটক ভাতা (বাণিজ্য-নৌ, ইত্যাদি) স্কীম, ১৯৩৯ অথবা যুদ্ধ অবসর ভাতা এবং আটক ভাতা (ভারতীয় নাবিক, ইত্যাদি) স্কীম, ১৯৪১, অথবা সরকার কর্তৃক প্রণীত যুদ্ধ অবসর ভাতা এবং আটক ভাতা (ভারতীয় নাবিক) স্কীম, ১৯৪২ এর অধীন কোন জখম সম্পর্কে গ্রেচুইটী, ভাতা, বা অবসর ভাতার ব্যবস্থা করা হইলে এই অধ্যায়ের অধীন তৎসমপর্কে কোন ৰতিপূরণ প্রদেয় হইবে না।   

(৭) এই অধ্যায়ের অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন নোটিশ প্রদান বা দাবী পেশ বা কার্যক্রম শুরু করিতে ব্যর্থতা এই অধ্যায়ের অধীন কোন ব্যক্তিগত জখমের সম্পর্কে কোন কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে বাধা হইবে না, যদি-   

(ক) উপ-ধারা (৬) এ উলিস্নখিত কোন স্কীমের অধীন উক্ত জখম সম্পর্কে অর্থ প্রদানের জন্য দরখাস্ত করা হইয়া থাকে; এবং   

(খ) সরকার এই মর্মে প্রত্যয়ন করে যে, উক্ত দরখাসত্দ এই যুক্তিসংগত বিশ্বাসে করা হইয়াছিল যে, জখমটি এমন যে, উহা সম্পর্কে যে স্কীমের অধীনে দরখাসত্দ করা হইয়াছিল উক্ত স্কীমে উহার জন্য অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা আছে, এবং জখমটি উক্তরূপ কোন জখম নহে এই কারণে দরখাসত্দখানি না মঞ্জুর করা হইয়াছিল অথবা উক্ত দরখাসত্দের পরিপ্রেৰিতে প্রদত্ত অর্থ প্রদান বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছিল; এবং  

 (গ) এই অধ্যায়ের অধীন কার্যক্রম সরকারের উক্ত প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার এক মাসের মধ্যে শুরম্ন করা হইয়াছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Get 30% off your first purchase

X
error: Content is protected !!