Answer: শ্রম আইনে ধর্মঘট , লকআউট এবং লে-অফ কাছাকাছি শব্দ হলেও এদের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান তবে সবগুলো ফলাফলই হলো আপাতত কাজ বন্ধ রাখা যেগুলোর কোনটাই আমাদের কাম্য নয়।
আসুন এবার শ্রম আইনের সজ্ঞা থেকে আলোচনা করা যাক এবং মনোযোগ সহকারে বুঝার চেষ্টা করি।
শ্রম আইনের ধারা ২ (২২) অনুযায়ী , ধর্মঘট” অর্থ কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত একদল শ্রমিক কর্তৃক একত্রে কর্ম বন্ধকরণ বা কাজ করিতে অস্বীকৃতি অথবা উহাতে নিয়োজিত কোন শ্রমিক সমষ্টি কর্তৃক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ গ্রহণ করিতে বা কাজ চালাইয়া যাইতে অস্বীকৃতি;
শ্রম আইনের ধারা ২ (৫৭) অনুযায়ী , “লক-আউট” অর্থ কোন মালিক কর্তৃক কোন কর্মস্থান অথবা উহার কোন অংশ বন্ধ করিয়া দেওয়া অথবা উহাতে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কাজ স্থগিত রাখা অথবা কোন মালিক কর্তৃক চূড়ান্তভাবে বা শর্তসাপেক্ষে তাহার যে কোন সংখ্যক শ্রমিককে [ কাজ করিতে দিতে অস্বীকৃতি], যদি উক্তরূপ বন্ধকরণ, স্থগিতকরণ বা অস্বীকৃতি কোন শিল্প বিরোধ সম্পর্কে হয় বা ঘটে অথবা উহা শ্রমিকগণকে চাকুরীর কতিপয় শর্ত মানিতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে করা হয়;
শ্রম আইনের ধারা ২ (৫৮) অনুযায়ী , “লে-অফ” অর্থ কয়লা, শক্তি বা কাঁচা মালের স্বল্পতা, অথবা মাল জমিয়া থাকা অথবা যন্ত্রপাতি বা কল-কব্জা বিকল বা ভাঙ্গিয়া যাওয়ার কারণে কোন শ্রমিককে কাজ দিতে মালিকের ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি বা অক্ষমতা;
উপরোক্ত সজ্ঞা পর্যালোচনার সারাংশ হল —-
ধর্মঘট হল শ্রমিক কর্তৃক সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার অস্বীকৃতি তা আইনিভাবে বা বেআইনিভাবে যেভাবেই সংঘটিত হউক।
“লক-আউট” হল মালিক কর্তৃক কারখানার কোন অংশ শর্তসাপেক্ষে উৎপাদন বন্ধ রাখা বা কোন সংখ্যক শ্রমিককে কাজ করিতে দিতে অস্বীকৃতি।
“লে-অফ” হল কোন মালের স্বল্পতা বা কোন প্রকৃতিক দুর্যোগের কারনে যেমন : Covid-19 ভাইরাস এর কারনে মালিক কর্তৃক কাজ দিতে পারার ব্যার্থতা ।