শিক্ষানবিস শ্রমিকঃ
কোন শ্রমিককে শিক্ষানবিস শ্রমিক (Probation period Workers) বলা হইবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানের কোন স্থায়ী পদে তাহাকে আপাততঃ নিয়োগ করা হয় এবং তাহার শিক্ষানবিশীকাল সমাপ্ত না হইয়া থাকে।
রেফারেন্সঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন এর ধারা ০৪(০৬)
স্থায়ী শ্রমিকঃ
কোন শ্রমিককে স্থায়ী শ্রমিক বলা হইবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাহাকে স্থায়ীভাবে নিযুক্ত করা হয়, অথবা প্রতিষ্ঠানে তিনি তাহার শিক্ষানবিশীকাল সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত করিয়া থাকেন।
রেফারেন্সঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন এর ধারা ০৪(০৭)
স্থায়ী শ্রমিক হবার শর্তঃ
কেরানী-সংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত কোন শ্রমিকের শিক্ষানবিশীকাল হইবে ছয় মাস এবং অন্যান্য শ্রমিকের জন্য এই সময় হইবে তিন মাসঃ
তবে শর্ত থাকে যে, একজন দক্ষ শ্রমিকের ক্ষেত্রে তাহার শিক্ষানবিশীকাল আরও তিন মাস বৃদ্ধি করা যাইবে যদি কোন কারণে প্রথম তিন মাস শিক্ষানবিসীকালে তাহার কাজের মান নির্ণয় করা সম্ভব না হয়
আরও শর্ত থাকে যে, শিক্ষানবিশকাল শেষে বা তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি শেষে কনফরমেশন লেটার দেওয়া না হইলেও উপ-ধারা (৭) এর বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট শ্রমিক স্থায়ী বলিয়া গণ্য হইবে।
রেফারেন্সঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন এর ধারা ০৪(০৮)
এখানে উল্লেখ্য যে, আপনি ইচ্ছে করলে আপনার কোম্পানীর নিয়োগপত্রে উল্লেখ করে দিতে পারেন যে , ছয় মাস বা তিন মাস শিক্ষানবিশীকাল শেষ হইবার পর স্থায়ী শ্রমিক হিসেব হন্য হইবে। তাহলে আপনাকে কনফরমেশন লেটার না দিলেও হবে কারন আপনি তা নিয়োগ পত্রে উল্লেখ করে দিয়েছেন।
ছয় মাস বা তিন মাস শিক্ষানবিশীকাল কাদের জন্যঃ
এককথায় পূর্বেই বলা হয়েছে যে, কেরানী-সংক্রান্ত কাজের জন্য ছয় মাস ও অন্যান্য সকলের জন্য তিন মাস।
তবে গার্মেন্টস শিল্পের জন্য শ্রমিকের নিম্মতম মজুরীর হার,২০১৮ এর মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে ০২ টি তফসীলে (তফসীল “ক” – মাসিক মজুরীর হার ও তফসীল “খ” – মাসিক মজুরীর হার) বিভক্ত করে শিক্ষানবিশ শ্রমিকের শর্ত নিম্মরূপে সজ্ঞায়িত করা হয়েছেঃ
শিক্ষানবিশ শ্রমিকের ক্ষেত্রে :
তফসীল “ক” (শ্রমিকের নিম্মতম মজুরীর হার,২০১৮ ও ২০১৯)
(ক) শিক্ষানবিশকাল ৩ (তিন) মাস
তবে শর্ত থাকে যে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ একজন শ্রমিকের কাজে সন্তুষ্ট না হইলে তাহার শিক্ষানশিকাল আরও ৩ (তিন) মাস বৃদ্ধি করিতে পারিবে;
(খ) শিক্ষানবিশিকালে শিক্ষানবিশ শ্রমিক মূল মজুরী ২,৭৫০ (দুই হাজার সাতশত পঞ্চাশ) বাড়ী ভাড়া ভাতা মূল মজুরীর ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) হারে ১,৩৭৫ (এক হাজার তিনশত পঁচাত্তর), চিকিৎসা ভাতা ৬০০ (ছয়শত), যাতায়াত ভাতা ৩৫০ (তিনশত পঞ্চাশ) এবং খাদ্য ভাতা ৯০০ (নয়শত) টাকা বাবদ মাসিক সর্বসাকুল্যে ৫.৯৭৫ (পাঁচ হাজার নয়শত পঁচাত্তর) টাকা মজুরী প্রাপ্ত হইবেন; এবং
(গ) শিক্ষানবিশিকাল সমাপ্ত হইবার পর শিক্ষানবিশ শ্রমিক সংশ্লিষ্ট গ্রেডের স্থায়ী শ্রমিক হিসাবে নিযুক্ত হইবেন।
তফসীল “খ”
(ক) শিক্ষানবিশকাল ৬ (ছয়) মাস:
(খ) শিক্ষানবিশিকালে শিক্ষানবিশ শ্রমিক মূল মজুরী ২.৮৭৬ (দুই হাজার আটশত ছিয়াত্তর) বাড়ী ভাড়া ভাতা মূল মজুরীর ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) হারে ১৪৩৮ (এক হাজার চারশত আটত্রিশ), চিকিৎসা ভাতা ৬০০ (ছয়শত), যাতায়াত ভাতা ৩৫০ (তিনশত পঞ্চাশ) এবং খাদ্য ভাতা ৯০০ (নয়শত) টাকা বাবদ মাসিক সর্বসাকুল্যে ৬,১৬৪ (চ হাজার একশত চৌষট্টি) টাকা মজুরী প্রাপ্ত হইবেন; এবং
(গ) শিক্ষানবিশিকাল সমাপ্ত হইবার পর শিক্ষানবিশ শ্রমিক সংশ্লিষ্ট গ্রেডের স্থায়ী শ্রমিক হিসাবে নিযুক্ত হইবেন।
.
.
HR ( Human Resource) এর মুল Menu তে ফিরে যেতে ক্লিক করুন
ছুটি বিষয়ক সকল প্রশ্ন ও উত্তর – Menu তে যেতে ক্লিক করুন
মাতৃত্বকালীন বিষয়ক সকল প্রশ্ন ও উত্তর – Menu তে যেতে ক্লিক করুন
Injury / Accident / Disease সংক্রান্ত সকল প্রশ্ন ও উত্তর এ ফিরে যেতে এখানে ক্লিক করুন
সার্ভিস বেনিফিট ও চাকুরী সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর -Menu তে ফিরে যেতে এখানে ক্লিক করুন
মজুরী সংক্রান্ত সকল প্রশ্ন ও উত্তর এ ফিরে যেতে এখানে ক্লিক করুন
ফান্ড , বিমা এবং তহবীল সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর -Menu তে ফিরে যেতে এখানে ক্লিক করুন