রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ সরকারের একটি সংস্থা। এটা জাতির রপ্তানি শিল্পের উন্নয়নশীলতার জন্য দায়বদ্ধ।
প্রতিষ্ঠা
২০শে আগস্ট এবং ৮ই নভেম্বর, ১৯৭৫ সালে প্রাথমিক ঘোষণা করা হয়। পরে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো অধ্যাদেশ ১৯৭৭ সালে কার্যকর করা হয় এবং এর ফলে ইপিবি প্রতিষ্ঠিত হয়
এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোতে (ইপিবি) একটি রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল রয়েছে। এ তহবিল থেকে রপ্তানিকারকদের পণ্য উৎপাদনের জন্য হ্রাসকৃত সুদে ও সহজ শর্তে ভেঞ্চার-ক্যাপিটাল (উদ্যোক্তা-বান্ধব অর্থায়ন) প্রদান করা হয়। পণ্যের উন্নয়ন ও বহুমুখিকরণের ক্ষেত্রে বিদেশি কারিগরি পরামর্শ, সেবা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া হয়। বিদেশে বিপণন মিশন প্রেরণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় অংশগ্রহণে সহায়তা করা হয়।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য রপ্তানিপণ্যের ক্ষেত্রে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খোলার সুবিধা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ও কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত সুদ ও সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয়।
এছাড়া রপ্তানির অর্থ সংস্থান, রপ্তানি-ঋণ, রপ্তানিশিল্পের ক্ষেত্রে বন্ড সুবিধা, রপ্তানিমুখি শিল্পের জন্য সাধারণ সুযোগসুবিধা, আকাশপথে শাক-সব্জিসহ প্ল্যান্ট, ফলমূল, ফুল ও বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত হারে বিমানভাড়ার সুবিধা ও সর্বোপরি রপ্তানিকারকদের জন্য আমদানি নীতি আদেশ ২০১২-২০১৫ তে প্রদেয় সুযোগ সুবিধা, রপ্তানি বাণিজ্যে বর্জনীয় বিষয়সমূহ, রপ্তানিনিষিদ্ধ পণ্যের তালিকা (২০১৫-২০১৮) কোন কোন্ পণ্য রপ্তানি করা যাবে, সে তালিকা পেতে যোগাযোগ করতে পারেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর বাণিজ্য তথ্যকেন্দ্রে (টিআইসি)।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর টিআইসি শাখা প্রতিষ্ঠিত হয় পাকিস্তান আমলে, ১৯৬২ সালে। বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ এই শাখা ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স ও নলেজ’ হিসেবে কাজ করছে। এখানে ইন্টারনেট সুবিধাসহ কম্পিটার-সেবা পাওয়া যায়। ম্যাগাজিন, সাময়িকী ও পত্রিকা পড়ার সুবিধাও রয়েছে এখানে। বাণিজ্য-জিজ্ঞাসা বা চাহিদা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় হালফিল তথ্য এখানে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়। পণ্য ও পণ্যের দেশভিত্তিক রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের তালিকাও এখানে পাওয়া যায়।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহকারি পরিচালক রাহিমা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, রপ্তানিকারকদের জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো তথ্য সরবরাহ করে থাকে বাণিজ্য তথ্যকেন্দ্র (টিআইসি)। নতুন অথবা পুরনো রপ্তানিকারক যে কেউ যেকোনো তথ্য ও সহায়তার জন্য আমাদের বাণিজ্য তথ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন।
ইপিবি সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ টিআইসিতে যান। তাদের মধ্যে অনেকে লাইব্রেরির বই ও কম্পিউটার ব্যবহার করেন। বছরে ৭০০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিয়ে এই লাইব্রেরি ও কম্পিউটার ব্যবহার করা যায়। যারা ঘন্টা হিসেবে সেবা নিতে চান তাদের প্রতি ঘন্টার জন্য ২০ টাকা ফি দিতে হয়।
রপ্তানি-ব্যবসায় আগ্রহী রানা বড়ুয়া টিআইসিতে (TIC – Trade Information Center) গিয়েছিলেন কিভাবে ব্যবসা শুরু করবেন তা জানতে।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমি রপ্তানি ব্যবসা করতে চাই। সেজন্য ইপিবির টিআইসিতে গিয়েছিলাম। তাদের কাছ থেকে আমি বিস্তারিত জানতে পেরেছি। কোথায় কি করতে হবে এগুলো জানার জন্য সেন্টারটি ভালো।
BANGLANEWS.COM থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।